
ফাইল ছবি
ভারতে বিমান চলাচলে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দেশটির শীর্ষ বিমান সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্রু সংকট, নতুন নীতিমালার ভুল অনুমান এবং প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্ডিগো পরিকল্পিতভাবেই আরও কিছু ফ্লাইট বাতিল করছে। আগামী দুই-তিন দিনেও বাতিলের সংখ্যা বাড়বে বলে প্রতিষ্ঠানটির ধারণা। দৈনিক প্রায় ২ হাজার ৩০০ ফ্লাইট পরিচালনাকারী ইন্ডিগোর অন-টাইম পারফরম্যান্স বুধবার নেমে আসে মাত্র ১৯ দশমিক ৭ শতাংশে, যা মঙ্গলবারের ৩৫ শতাংশ থেকেও কম।
এ অবস্থায় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ ইন্ডিগোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। দ্রুত সমাধান বের করাই ছিল আলোচনার মূল লক্ষ্য।
ইন্ডিগো সিইও পিটার এলবার্স জানিয়েছেন, ফ্লাইট সিডিউল স্বাভাবিক করা এবং সময়নিষ্ঠতা ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না।
পিটিআইয়ের তথ্যমতে, মুম্বাইয়ে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫টি, কলকাতায় ৩৫টি, চেন্নাইয়ে ২৬টি এবং গোয়ায় ১১টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকেও বাতিলের খবর এসেছে।
ফ্লাইট সংকটের পেছনে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন নীতিমালা। নভেম্বরের শুরুতে কার্যকর হওয়া এ নীতিমালা বাস্তবায়নে ভুল অনুমান করা হয় বলে ইন্ডিগোর দাবি। বিশেষ করে রাতের সিডিউলে পাইলটের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হওয়ায় রোস্টিং সিস্টেমে বিপর্যয় দেখা দেয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে— রাতে ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।









































