জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ২৫৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ১৪ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ ওভারে ৫ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে।
আগের দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান সংগ্রহ করেছিল টাইগাররা। ৯ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আল আমিন।
এর আগে রোববার ব্যাটিং ক্রিজে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেছিলেন মুমিনুল হক (১৪) এবং শামসুর রহমান (৮)। নিজের রানের খাতা খোলার আগেই দিনের শুরুতে পানিয়াঙ্গারার বলে চিগুম্বুরার হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ৫০ বল খেলে ৮ রান করা শামসুর
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই এক উইকেট খোয়ালেও ব্যাটিং ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল এবং মাহামুদুল্লাহ দেখেশুনেই ইনিংস লম্বা করার দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিজের ষষ্ঠ অর্ধশতক পূর্ণ করার পর আলসেমি ভঙ্গিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। আউট হওয়ার আগে মাহামুদুল্লাহর সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে মুমিনুল ১১২ বলে ৫৩ রান করেন।
মধ্যহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশ তিন উইকেট হারিয়ে তোলে ১০৯ রান। বিরতির পর দলীয় ১১৪ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফেরেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৫ রান করেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ের পর ব্যাটিং ক্রিজে মাহামুদুল্লার সঙ্গে জুটি বাধতে এসেছিলেন টাইগার দলপতি মুশফিক। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বেশ দেখেশুনেই এগুচ্ছিলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু চা বিরতির কিছু আগে সিকান্দার রাজার বলে এলবির ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন মাহামুদুল্লা। আউট হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৬৪ রানের একটি জুটি গড়েন তিনি।
এরপর শুভাগত হোম ব্যক্তিগত ১৪ রান করে কামুনগোজির বলে চিগুম্বুরার হাতে ধরা দেন।
অর্ধশতক করার পর ব্যক্তিগত ৬৪ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে আরভিনের ক্যাচে পরিনত হন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে তিনি ১২৬ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
আগের দিন বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩৫ টেস্ট খেলা তামিম ইকবাল এবং ৫টি টেস্ট খেলা শামসুর রহমান। দলীয় ১০ রানের মাথায় পানিয়াঙ্গারার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। আউট হওয়ার আগে তিনি ৫ রান করেন।
প্রথম থেকেই বাংলাদেশের স্পিনকে ভয় পাওয়া জিম্বাবুয়ে মূলত স্পিনেই কুপোকাত হয়েছে। দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একাই তুলে নেন ৬টি উইকেট। এছাড়া বাকি দুই স্পিনার নেন তিনটি উইকেট। তাইজুল একটি উইকেট পেলেও অভিষেকে দুটি উইকেট পান জুবায়ের।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম (অধি.), সাকিব আল হাসান, সামশুর রহমান, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শুভাগত হোম, তাইজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইন, জুবায়ের হোসাইন এবং আল-আমিন হোসাইন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিভান্দা, সিকান্দার রেজা, হেমিল্টন মাসাদজা, ব্রেন্ডন টেইলার (অধি.), ইরভাইন, এল্টন চিকাম্বুরা, চ্যাকাবা, পানিয়াঙ্গারা, নিয়াম্বু, চাতারা এবং ক্যামানগুজি।