এ নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে বংশাল থানার ডিউটি অফিসার হাফিজুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে ডিএমপি অ্যাক্টের ৭৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটকদের মধ্যে দু/একজন ঢাবির শিক্ষার্থী। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাদের নামপরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ আলী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আটক ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন ঢাবির শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি চারজনের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। তবে তাদের নাম এখনো আমার হাতে আসেনি।’
এলাকাবাসী জানায়, মাঝে মাঝেই হোটেল সুফিয়াতে এ ধরনের অপকর্ম হয়ে হতো।স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে এই অপকর্ম করা হয়। এ নিয়ে হোটেল মালিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই হোটেলের কারণে এলাকার যুবক ছেলে-মেয়ে এসব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
তারা আরও জানায়, রবিবার বেশ কয়েকজন ছেলেমেয়ে একসাথে হোটেলে প্রবেশ করে। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে তারা এক হয়ে হোটেলটি ঘেরাও করে। পরে বিভিন্ন কক্ষ থেকে চারজন মেয়ে ও সাতজন ছেলেকে আটক করে। এ সময় তাদের রুম থেকে বিপুল পরিমাণ পর্নো ভিডিও, পর্নো সিডি, পর্নো ম্যাগাজিন, পর্ন মুভি তৈরির সরঞ্জাম ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।