Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বৃদ্ধকে বিয়ের অনুমিত দিল যুক্তরাষ্ট্র!

old-men-marriageএ যেন অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। বয়স ৮০। তার ওপর আবার গণহত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত। যদিও মৃত্যুদন্ড কার্যকর আইন রহিত করায় আমৃত্যু তিনি জেলেই কাটাবেন।

এরপরও গণহত্যাকারী এ বৃদ্ধের সাধ জেগেছে বিয়ের! তাও আবার ২৬ বছর বয়স্ক এক তরতাজা তরুণীর সঙ্গে। ইতিমধ্যে বিয়ের অনুমিতও পেয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তির নাম কার্লোস ম্যানসন।

chardike-ad

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি খবরে বলা হয়, আজ থেকে ৯ বছর আগে একদিন ২৬ বছর বয়স্ক সুন্দরী নারী অ্যাস্টন এলিনি বার্টন ক্যালিফোর্নিয়ার কোরকোরান শহরের একটি কারাগারে ভ্রমণে যান। সেখানেই কার্লোসের সঙ্গে তার চোখাচোখি, সামান্য কথাবার্তা, পরে প্রেম।

দশদিন আগে বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন কার্লোস ও বার্টন। ১৯৬৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে সাত জন প্রাপ্ত বয়স্ক ও এক অনাগত শিশুকে হত্যার দায়ে ম্যানসনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন আদালত। কিন্তু এ রায়ের কিছুদিন পর ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আইন রদ করে স্থানীয় সরকার। আর তাতেই বেঁচে যান তিনি।

ম্যানসনের হাতে নিহতদের মধ্যে হলিউডের অস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ছবি নির্মাতা রোমান পোলানস্কির স্ত্রী ও বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্যারন ট্যাট রয়েছেন।

নিজেকে তারকা দাবি করে এপিকে বার্টন বলেন, ‘তিনি ও ম্যানসন পরবর্তী মাসে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ের অনুমতি পেয়েছি। তবে এর মেয়াদ ৯০ দিন। এর মধ্যেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তবে আগামীতে সত্যিকার অর্থে কী ঘটতে চলেছে আমি তা জানি না। আমি তাকে (ম্যাসন) খুব ভালবাসি।’

বর্ণবাদী যুদ্ধ ছড়ানো লক্ষ্যে ম্যাসনের পরিবারের সদস্যরা যারা রক্ষণশীল ও অন্যদের থেকে নিজেদের উঁচু মনে করতেন তাদের ১৯৬৯ সালে দুই রাতে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে সাত জনকে হত্যা করেন তিনি।

বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। জেল কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

তথ্যসূত্র : বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট।