Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরাকে বিমান হামলা শুরু করেছে ইরান

iran_attack

সম্প্রতি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অবস্থান লক্ষ্য করে ইরাকের পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান। এক পেন্টাগন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বুধবার এ খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা বিবিসি।

chardike-ad

পেন্টাগন মুখপাত্র রেয়ার এডমিরাল জন কিরবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনোরকম সমঝোতা ছাড়াই এ হামলা শুরু করেছে ইরান। উর্ধ্বতন এক ইরানি কর্মকর্তাও এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ইরাক হামলার বিষয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনো সম্বন্বয় হয়নি।

ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাস থেকে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নের্তৃত্বাধীন জোট।

এর আগে প্রকাশিত এক রিাপের্টে বলা হয়েছে, আমেরিকার নির্মিত এফ-৪ পানতম জঙ্গি বিমান থেকে ইরাকের দিয়ালা প্রদেশে হামলা চালিয়েছে ইরানি বিমান বাহিনী।

এ সম্পর্কে পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিবরে বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই তারা এফ-৪ জঙ্গি বিমান থেকে ইরাকে হামলা শুরু করেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।’ তবে এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি এবং মার্কিন নের্তৃত্বাধীন জোটেও যোগ দেয়নি ইরান।

তিনি আরো বলেছেন,‘আমরা ইরাকি সরকারের সহযোগিতায় সেখানে মিশন পরিচালনা করছি। ইরাকের আকাসসীমা কাকে ব্যবহার করতে দেবে বা না দেবে এটা একান্তই বাগদাদ সরকারের আভ্যন্তরীণ বিষয়।তবে ইরান সরকারের সঙ্গে কোনোরকম সামরিক সহযোগিতা না করার মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বা সম্বন্বয়ের খবর স্বীকার করেনি ইরানও। তেহরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুড জাযায়রি বলেছেন, ইরান মনে করে ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ি এবং ভবিষ্যতেও এ দেশটির সঙ্গে ইরানের কোনো সহযোগিতা স্থাপনের সম্ভবনা নেই।

আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিয়ে মার্কিন নের্তৃত্বাধীন যে সামরিক জোট গঠিত হয়েছে সেখানে তেহরানকে আমন্ত্রণ জানাননি যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানও এই জোট নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এছাড়া সিরিয়া নিয়েও এ দেশ দুটির মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশির আল আসাদের ঘনিষ্ঠ সমর্থক ইরান। অন্যদিকে আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে ওয়াশিংটন।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটেনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে মধ্যপন্থি হাসান রুহানি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে দু দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেলিফোনে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের আলাপ করেছেন।