Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঢাকায় ভূটানের প্রধানমন্ত্রী

Bhutanese pm (Custom)ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ ভূটানের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী রয়্যাল ভূটানিজ এয়ারলাইন্সের ‘ড্রুক এয়ার’ বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের স্বাগত জানান।  এরপর তাঁদেরকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল শেরিং টোবগেকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। খবর বাসসের।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, মন্ত্রী ও ব্যবসায়িসহ ১০ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী । সফরকালে তিনি প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে অবস্থান করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিটে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

chardike-ad

তাঁদের আলোচনায় বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কানেকটিভিটিসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় স্থান পাবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটা ১৫ মিনিট থেকে উভয়ে একান্তে কিছু সময় কাটাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ কথা বলা হয়েছে।

আজ রাতে হোটেল সোনারগাঁয়ে শেরিং টোবগের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশভোজ সভায় তিনি অংশ নেবেন।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া তিনি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর সাথেও বৈঠক করবেন।

এছাড়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই)এর একটি প্রতিনিধিদল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্তও শেরিং টোবগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সূত্র মতে, শেরিং টোবগে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।

এ সফরকালে বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে বলে গত সোমবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। বাণিজ্যিক উন্নয়নে একে অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া বিষয়ক ওই চুক্তি ১৯৮০ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। নভেম্বরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনদিনের সফর শেষে আগামী ৮ ডিসেম্বর সোমবার তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর উপলক্ষে রাজধানীর সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ বাংলাদেশ ও ভ’টানের জাতীয় পতাকায় সাজানো হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনা ও শেরিং টোবগের বড়ো বড়ো ছবিও নগরীতে শোভা পাচ্ছে

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি শেরিং টোবগের প্রথম বাংলাদেশ সফর।