Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিডনিতে জিম্মি সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসান

Sydney+Hostage+release

অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির লিন্ড চকলেট ক্যাফেতে কমান্ডো হামলা চালিয়ে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।

chardike-ad

১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেখানে অস্ত্রের মুখে লোকজনদের জিম্মি করে রাখে এক বন্দুকধারী। পুলিশ এই ব্যক্তিকে ইরানি শরণার্থী বলে সনাক্ত করেছে।

অভিযানে বন্দুকধারী ব্যক্তিসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছেন বলে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে। নিহতদের একজন নারী। তবে বন্দুকধারী ছাড়া অন্য দুজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ক্যাফেতে হানা দেয়া ওই বন্দুকধারী ইরানি শরণার্থী। হারুন মনিস নামের ওই বন্দুকধারীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সরকার।

স্বঘোষিত মুসলিম ধর্মগুরু হিসাবে পরিচিতি হারুন নিজেকে শেখ হারুন বলে পরিচয় দিতেন। তার বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানে মোতায়েন অস্ট্রেলীয় সেনাদেরকে হুমকি দিয়ে চিঠি লেখার অভিযোগে ২০১২ সালে হারুন দোষীও সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

সোমবার এই অস্ত্রধারী ক্যাফেতে ঢুকে অন্তত ৩০ জনকে জিম্মি করে ইসলামিক পতাকা ওড়াতে বাধ্য করেন। এ ঘটনায় জিহাদি হামলার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

গণমাধ্যমের ফুটেজে জিম্মিদের হাতে আরবি লেখা যে সাদা-কালো ইসলামিক পতাকা দেখা গেছে তাতে মৌলবাদের সঙ্গে এ ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা ছিল পুলিশের। অস্ত্রধারী ইসলামিক স্টেটের পতাকা দাবি করে এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনারও দাবি জানায়।

এরপর কমান্ডো অভিযানে ভারী গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে প্রায় ১৭ ঘন্টা পর সন্ত্রাসমুক্ত হয় সিডনির ক্যাফে। এর কিছুক্ষণ আগেই ৬ জিম্মিকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ অস্ট্রেলিয়া ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করায় মধ্যপ্রাচ্য ফেরত দেশীয় জিহাদি জঙ্গিদের হামলার চরম ঝুঁকির মুখে অত্যন্ত সতর্কাবস্থায় রয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে এক ব্যক্তিকে শিরোশ্ছেদের হুমকি থেকে বাঁচিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ। এর কয়েকদিন পর দুই সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাহত করার ঘটনায় মেলবোর্নে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।

সেপ্টেম্বরে আইএস এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীতে জঙ্গি বিমান পাঠানো অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে বড় ধরনের একটি সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানও চালিয়েছে। এছাড়া, অক্টোবরে একটি কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনও পাস করেছে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট।