পাকিস্তানের রক্তাক্ত পেশোয়ার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। সবশেষ খবর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৪০ শিশুসহ মোট ১৬০ এবং শতাধিক আহতের কথা বলা হচ্ছে। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জিম্মিদের উদ্ধারের সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে। পাকিস্তানে তালেবান হামলার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে নৃশংস হামলা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এ হামলাকে পাকিস্তানের জন্য বিয়োগান্ত বলে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, `আমরা দুষ্কৃতকারীদের কোনো ছাড় দেব না।` হামলার পরপরই তিনি পেশোয়ারে যান। আজ সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছেন তিনি। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ গতকালই খাইবারে তালেবান আস্তানায় অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেন। তালেবান একে প্রতিশোধমূলক হামলা উল্লেখ করে বলেছে, তারা স্বজন হারানো বেদনা বুঝুক। নিহতের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান। শিক্ষার্থীদের বয়স ৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। খবর বিবিসি, ডন, রয়টার্স, এএফপি, সিএনএন, এনডিটিভি, ট্রিবিউন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেইলি মেইল,নিউইয়র্ক টাইমস।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্বরোচিত এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে তিনি উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এই নৃশংস ঘটনায় পাকিস্তানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।