Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঘুরে আসুন রাঙ্গামাটির সুবলং ঝর্ণা

sovolongরাঙ্গামাটির অন্যতম সুন্দর দর্শনীয় স্থান এটি। চমৎকার একটি জলপ্রপাত এই স্থানকে দিয়েছে ভিন্ন একটি চরিত্র। রাঙ্গামাটি শহর থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মনোরম এই ঝরনাটি। এ ঝর্নার রূপ আপনাকে মোটেও আশাহত করবে না। সময়টি যদি হয় বর্ষাকাল তবে আপনি সত্যিই ভাগ্যবান বলতে হবে। কেননা এই সময় ঝর্না হয়ে উঠে নবযৌবনা, সয়ম্বরা। ঝর্ণার নির্মল জলধারা পর্যটকদের হৃদয়ে এক ভিন্ন অনুভূতির কাঁপন তোলে। বরকল উপজেলায় ছোট-বড় ৮টি ঝর্ণা রয়েছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে মূল ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উচু থেকে নীচে আচড়ে পড়ে এবং অপূর্ব সুরের মুর্ছনায় পর্যটকদের সযতনে মুগ্ধ করে।

এখানে ঝরনার স্রোতের উপর ছোট্ট সেতু করা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। এখান থেকে পাহাড়ের খোপের শুভলং ঝরনা একত্রে সম্পূর্ণ দেখা যায়। সেতুর ত্রিশ ফুট নীচে দিয়ে ঝরনা থেকে উৎপন্ন ছড়া বয়ে গিয়ে কর্ণফুলী বা কাপ্তাই হ্রদে মিশছে।

chardike-ad

ঝর্নাস্নান কিংবা দর্শন শেষে আপনি সামনে এগিয়ে গেলে পাবেন সুবলং বাজার। হ্রদের তীরে অবস্থিত স্থানীয় এই বাজারে রয়েছে একটি সেনা ক্যাম্প। দুপুরের খাবারটি চাইলে এখানে সেরে নিতে পারেন। হ্রদ থেকে ধরা মাছের ঝোল আর আলুভর্তা রসনা বিলাসের জন্য মন্দ নয়। তবে সাবধানস এই এলাকায় প্রায়শই বন্য হাতির হামলা হয়ে থাকে। তাই চোখ কান একটু খোলা রাখাই শ্রেয়।

কীভাবে যাবেনঃ

দুপাশে উঁচু পাহাড় তার মাঝ থেকে নিরবধি বয়ে চলা কাপ্তাই লেক। রাঙামাটি শহর থেকে ইঞ্জিন বোটে শুভলং যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান যাওয়া আসার ভাড়া ৭০০-১৫০০ টাকা, যেতে পারবেন ১০ থেকে ২০ জন। সম্প্রতি চালু হয়েছে এই পথে আধুনিক জলযান কেয়ারী কর্ণফুলী। এছাড়া রিজার্ভ বাজার থেকে সকাল থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত লোকাল লঞ্চ ছাড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে। সকালে উঠলে ফিরতি পথেও পেয়ে যাবেন কোনো লঞ্চ। ঘুরে আসতে পারেন সেসব কোনো লঞ্চেও।