Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তিনশ ফুট গভীর পাইপে শিশু, রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার অভিযান চলছে

ঢাকার শাহজাহানপুরে রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন তিন থেকে চারশ ফুট গভীর একটি পরিত্যাক্ত পানির পাম্পে চার বয়সী একটি শিশু পড়ে গেছে। শিশুটির নাম জিয়াদ, সে মতিঝিল মডেল স্কুলের দারোয়ান নাসিরুদ্দিনের ছেলে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ওই ঘটনা ঘটার পর আট ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী। রাত বারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সরু নতুন একটি পাইপ ঢুকিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের একটি বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল।

পাঁচবার বিভিন্ন কায়দায় দড়ি ফেলেও ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় ভেতরে থাকা তিন ইঞ্চি ব্যাসের সাড়ে তিনশ ফুট দীর্ঘ একটি পাইপ ক্রেইন দিয়ে টেনে তুলে জায়গা করা হয়েছে। বুয়েটের দলটির সাথে কথা বলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা বুয়েটের প্রস্তাবিত পদ্ধতিতেই চেষ্টা চালাতে চান। ইতোমধ্যে পাইপ কেটে ওই ‘ক্যাচার’ বানানোর কাজ শুরু হয়েছে।

chardike-ad

বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষর্থী তানভীর আরাফাত ধ্রুব জানান, তাদের ওই পাইপের নিচের অংশে এমন ব্যবস্থা থাকবে যাতে সেটি নিচে পৌঁছে গুটিয়ে রাখা একটি অংশ খুলে দেবে শিশুটিকেসহ তা উপরে উঠিয়ে আনার ব্যবস্থা থাকবে।

শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সেখানে ক্যামেরা ও আলোসহ বশির আহমেদ নামের এক স্বেচ্ছাসেবীকে নামানোর কথা ভাবা হলেও পরে নিরাপত্তার খাতিরে তা বাতিল করা হয়।

রাজধানীর শাহজাহানপুরে পানির পাম্পের পাইপের ভেতর দিয়ে পড়ে যাওয়া শিশু উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট। ছবিটি রাত নয়টার দিকে তোলা। আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটি সেখানে পড়ে যায়। ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর শাহজাহানপুরে পানির পাম্পের পাইপের ভেতর দিয়ে পড়ে যাওয়া শিশু উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট। ছবিটি রাত নয়টার দিকে তোলা। আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটি সেখানে পড়ে যায়। ছবি: ফোকাস বাংলা

 

 

এর আগে পাইপে রশি ফেলে ও ক্রেন দিয়ে পাইপের কিছু অংশ তুলে কেটেও কোন ফল পাওয়া যায় নি। এরই মধ্যে পাইপে রশির সাহায্যে শিশুটিকে জুস দেওয়া হয়েছে। অন্ধকারে যাতে ভয় না পায়, সে জন্য দুটি টর্চলাইট পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে জিয়াদের বাসার দূরত্ব ৫০ গজের মতো। সে তার মা-বাবার সঙ্গে রেলওয়ে কলোনিতে থাকে। অন্য শিশুদের সঙ্গে সেখানে সে খেলতে গিয়েছিল। খেলার এক পর্যায়ে জিয়াদ পাইপের ভিতর পড়ে যায়।