Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পারবে তো বাংলাদেশ?

bangladesh-cricket

বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে স্কটল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩১৮ রান সংগ্রহ করেছে। জয়ের জন্যে বাংলাদেশকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩১৯ রান করতে হবে।

chardike-ad

স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫৬ রান করেন কাইল কোয়েটজার। প্রথম স্কটিশ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কাইল কোয়েটজার। ১৫৬ রানের ইনিংস খেলতে ১৩৪ বলে ১৭ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ওপেনার। তার ইনিংসটি থামান স্পিনার নাসির হোসেন। নাসিরের বলে ডিপ মিড উইকেটে তালুবন্দি হন কোয়েটজার।

নিউজিল্যান্ডের নেলসনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ম্যাচটি শুরু হয়। ইনিংসের শুরুতে স্কটিশ ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। স্কটল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যালম ম্যাকলয়েড কভারে মাহমুদুল্লাহর তালুবন্দি হন। দ্বিতীয় উইকেটে ২৫ রান যোগ করেন কার্ল কোয়েটজার ও হাসিম গার্ডিনার। তবে পেসার তাসকিন এই জুটি বড় হতে দেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে হাসিম গার্ডিনারকে (১৯) সাজঘরে ফেরত পাঠান ডানহাতি এই পেসার। কভারে ক্যাচটি ধরেন সৌম্য সরকার।

তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় স্কটল্যান্ড। কাইল কোয়েটজার ও ম্যাট ম্যাচন ৭৮ রানের জুটি বেঁধে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন। ২৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন পার্ট টাইম স্পিনার সাব্বির রহমান। বাহাতি ম্যাট ম্যাচন সাব্বিরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন ম্যাচন।

চতুর্থ উইকেটে বড় সংগ্রহের ভীত পায় স্কটল্যান্ড। অধিনায়ক প্রেসটন মমসনকে নিয়ে জুটি বাঁধেন কাইল কোয়েটজার। ১৪১ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এ সময়ে কাইল কোয়েটজার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন।

দলীয় ২৫৭ রানে মমসনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাসির হোসেন। ৩৮ বলে ৩৯ রান করেন স্কটিশ অধিনায়ক। মমসন ফিরে যাওয়ার পর পরই নাসিরের দ্বিতীয় শিকার হন। সাজঘরে ফেরার আগে যা ক্ষতি করার দরকার তা তো করেই যান তিনি।

শেষ দিকে বেরিজনের ২৬ ও ম্যাথু ক্রসের ২০ রানের সুবাদে ৩১৮ রানের সংগ্রহ পায় স্কটল্যান্ড।

বল হাতে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা নাসির হোসেন ৩২ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, সাকিব ও সাব্বির।

দুই দলে এর আগে চার ম্যাচে মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে যাত্রা শুরু করে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। স্বপ্নের কোয়ার্টারের পথে যাত্রার শুরুটা ছিল অসাধারণ! আন্ডারডগ আফগানিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ সাধে ঘূর্ণিঝড় ‘মার্সিয়া’। খেলা না হওয়ায় ১ পয়েন্ট করে পায় অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার আশা এখনো টিকে আছে বাংলাদেশের। শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পেলেই নক-আউট পর্বে নাম লিখাবে টাইগাররা।