২০১৩ সাল পর্যন্ত দশকজুড়ে চীনা কোম্পানিগুলো বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করায় ৭৬ হাজারেরও বেশি চীনা মিলিয়নেয়ার অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছেন বা নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। খবর ব্লুমবার্গ।
আবাসন ও সম্পদ বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাংক বলছে, অভিবাসী ও দেশত্যাগী ধনী চীনাদের শীর্ষ গন্তব্য ছিল অস্ট্রেলিয়া। গত জানুয়ারিতে শেষ হওয়া দুই বছরে বিনিয়োগকারী ভিসায় অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের জন্য আবেদন করেছিলেন ১ হাজার ৩৮৪ জন, তাদের ৯০ শতাংশই চীনা নাগরিক। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগকারী ভিসার আবেদনকারীদের মধ্যে শীর্ষে আছেন চীনারা।
নাইট ফ্রাংকের গবেষণা বিভাগের প্রধান লিয়াম বেইলি বলেন, ‘নতুন দেশে পুনর্বাসিত হতে চীনা ধনীদের ভালো আকাঙ্ক্ষা আছে। বিশ্বব্যাপীই তারা তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়। আর এ কারণে তারা এখন লন্ডন, নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো বৈশ্বিক শহরগুলোয়
পাড়ি জমাচ্ছে।’
গত বছরের প্রথম নয় মাসে ৩০০ জনেরও অধিক চীনা নাগরিক যুক্তরাজ্যের টিয়ার ওয়ান ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। এ ধরনের ভিসা পাওয়ার প্রধানতম শর্ত, ব্রিটিশ সম্পদে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করতে হবে। মোট ৭০৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১৬০ জন এসেছেন রাশিয়া থেকে।
মিলিয়নেয়ারদের ‘রফতানির’ ক্ষেত্রে চীনের পরই আছে ভারত। গত এক দশকে ৪৩ হাজার ৪০০ জন ভারতীয় মিলিয়নেয়ার বিদেশে অভিবাসী হয়েছেন। ১৪ হাজার নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে রাশিয়া।