Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশের ৬,১৭০ ফ্রিল্যান্স্যারকে প্রশিক্ষণ দেবে স্যামসাং

outsourceদেশে অাউটসোর্সিং অায় বাড়াতে এবং অধিক কর্মস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সরকার ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এবার সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি ও সেবাপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

স্যামসাংয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন (অার অ্যান্ড ডি) বিভাগ সরকারের সহযোগিতায় সারাদেশের ৬ হাজার ১৭০ জনকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেবে। এর মধ্যে জেলা পর্যায়ে এক হাজার ২৮০ এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪ হাজার ৮৯০ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (অাইসিটি) বিভাগের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণ চলবে বলে জানা গেছে। অাইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা অাবু নাসের বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

chardike-ad

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে স্যামসাংয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন (অার অ্যান্ড ডি) বিভাগ রয়েছে। সেখানে ৬৩৭জন কর্মী কাজ করছেন। মোট কর্মীর মধ্যে একজন বাদে সবাই বাংলাদেশি।

অাইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই স্যামসাং সরকারের সঙ্গে বিশেষ করে অাইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করার অাগ্রহ প্রকাশ করে। স্যামসাং দেশে স্মার্ট স্কুল গড়ে তোলার প্রস্তাবও দেয় সরকারকে। তবে অাইসিটি বিভাগ ‘স্মার্ট স্কুল’ নয় ‘ডিজিটাল স্কুল’ গড়ে তোলার ব্যাপারে অাগ্রহ প্রকাশ করে। বিষয়টি নিয়ে স্যামসাং সংশ্লিষ্ট ফোরামে অালোচনা করবে বলেও জানায় অাইসিটি বিভাগকে। একইসঙ্গে অাইসিটি বিভাগ ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে প্রস্তাব দিলে স্যামসাং রাজি হয়।

জানা গেছে, প্রতি জেলায় ২০ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ১০ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। অার উপজেলায় পর্যায়ে ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবে ৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। নারীদের অারও বেশি করে তথ্যপ্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত করতে প্রশিক্ষণে নারী ও পুরুষের অনুপাত সমান রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণে অাগ্রহীদের নির্বাচন করা হবে। প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনের অাগে ব্যাপকভিত্তিকে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে বলে জানা গেছে। তবে একসঙ্গে সারা দেশে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে না। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ‌ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। যাদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের হাতেখড়ি হয়েছে এবং যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তাদের জন্য মূলত এটি হবে ‘নিবিড় প্রশিক্ষণ’ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ে অামাদের দেশে ‘অ্যাডভান্স লেভেলের’ কাজ কম হচ্ছে সে কারণে অাগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মমুখী করার একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করে অাইসিটি বিভাগ। তবে বিষয়টি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় কবে এবং কীভাবে, কোন মডিউলে, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।