মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস। মার্চ মাসটা বাংলাদেশের জন্য বড্ড আবেগের জায়গা। জাতীয় জীবনের ঘটনা ক্রিকেট মাঠে টানার দৃষ্টান্ত দেখা যায় কদাচিৎ।তবে একদমই অনপুস্থিত থাকে তা আবার নয়।
মার্চে দুদল পরস্পর খেলেছেই দুটি ম্যাচ। প্রথম পর্বটা ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। পোর্ট অব স্পেনে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়েছিল ভারতকে। মাশরাফির বন্ধু প্রয়াত মানজারুল ইসলাম রানার শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে বাংলাদেশ পেয়েছিল দারুন জয়। যা বিশ্বকাপ থেকে সেবার গ্রুপ পর্বেই বিদায় করে দিয়েছিল শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলিদের ভারতকে। মাশরাফির বোলিং তোপে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। তামিম, মুশফিক, সাকিবের হাফ সেঞ্চুরিতে জিতেছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় পর্বটা নিকট অতীতে। ২০১২ সালের ১৬ মার্চ, এশিয়া কাপে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতকে ৫ উইকেটে পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি রেকর্ড গড়ার ম্যাচটি ম্লান করে দিয়েছিল মুশফিকের দল। ভারতের ২৮৯ রানকে টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ তামিম, জহুরুল, নাসিরের হাফ সেঞ্চুরিতে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে ইতোমধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে তুমুল আলোচনার চলছে। দুদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেও উত্তেজনার ঝড় বইছে। প্রতিপক্ষ, দল হিসেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। যা নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে ভারত টাইগারদের কাছে অনাতিক্রম্য নয়, এটাও প্রমাণিত।
ওয়ানডেতে ২৮ ম্যাচে দুদল মুখোমুখি হয়েছে। যার তিনটিতে বাংলাদেশ, ২৪টিতে ভারত জিতেছে, একটি পরিত্যক্ত। নতুন বার্তা।