Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রেমিক যুগলের অন্যরকম প্রতারণা

Arestঅনলাইনে ল্যাপটপ কেনা-বেচার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক ও বিক্রেতাদের ফোন করে ডেকে আনেন। এরপর অফিসে বসিয়ে রেখে কেনাবেচা তো নেই-ই, বরং ল্যাপটপ নিয়ে লাপাত্তা। প্রতারণার ফাঁদ পেতে এমনই বাণিজ্য করে আসছিল একটি চক্র। শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে এমনই এক প্রেমিকযুগল ও এক দালালকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

পরে বিকেল ৩টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে র‌্যাব-২ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাব-২ পরিচালক (সিও) লে. কর্ণেল মাসুদ রানা। আটককৃতরা হলেন- আফসানা (১৯), তানভির হোসেন নির্ঝর (২৩) ও রানা রায়হান (৩৬)।

chardike-ad

লে. কর্ণেল মাসুদ রানা বলেন, আফসানা ও তার প্রেমিক নির্ঝর অনলাইনে বিভিন্ন বেচাকেনার ওয়েবসাইটে গিয়ে পণ্য বাছাই করেন। পরে বিক্রেতার সঙ্গে ফোনে আফসানা যোগাযোগ করেন। বিক্রেতার কাছে না গিয়ে উল্টো তাদের কাছে আসতে বলেন। ঠিকানা দেওয়া হয় কোনো এক নামিদামি অফিসে। ওই অফিসে আফসানা জানায়- তাদের সেবা নেবেন। এখানেই মূলতঃ প্রতারণার ফাঁদ পেতে থাকে তারা।

প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী দুই জন সংবাদ সম্মেলনে জানান, পান্থপথের ক্রাউন চেম্বার ও আরটেক নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে তাদের নিয়ে বসানো হয়। কথা ছিল তাদের ল্যাপটপ ও ম্যাকবুক কিনবেন আটককৃতরা।

কিন্তু ওইসব অফিসে নিয়ে কথা বলার এক ফাঁকে বসকে দেখানোর কথা বলে তারা জিনিস নিয়ে বেরিয়ে যান। পরে বিক্রেতা ওই অফিসে খোঁজ নিয়ে জানেন আসলে তারা ওই অফিসের কেউ না। এভাবেই বিক্রেতারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেখানে।

মাসুদ রানা জানান, সম্প্রতি অনলাইন শপিং জনগণের মধ্যে বিপুল সারা জাগিয়েছে। বাজারের যাওয়ার ঝামেলা ও ইন্টারনেটের মাধ্যমেই দরদাম ঠিক হওয়ায় ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছিলেন। তবে কিছু প্রতারক অনলাইন শপিং সাইটগুলোকে কেন্দ্র করে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে। এসব প্রতারক দামি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বিক্রয়ের ইচ্ছুক বিক্রেতাদের সাথে অনলাইনে তাদের পণ্য ক্রয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তার পরে তাদের পাতা ফাঁদে বিক্রেতাকে পণ্য বিক্রয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু বিক্রেতাকে টাকা প্রদান না করেই পণ্য হাতিয়ে নেয় তারা।

প্রাথমিকভাবে আসামীরা জানান, ১০/১১ মাস ধরে এসব প্রতারণা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।