Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আব্বা বিচলিত নন : কামারুজ্জামানের ছেলে

hasanজামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি কারাগারে তার বাবার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আব্বা চিন্তিত ও বিচলিত নন। আমরাও বিচলিত নই। তিনি সুস্থ আছেন। তার মনোবল অটুট আছে। আব্বা আমাদের হাসিমুখে বিদায় দিয়েছেন। উনি আমাদের সবসময় সৎপথে চলতে ও সত্যের উপর অবিচল থাকতে বলেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার আব্বা কোনো অন্যায় করেননি। তার উপর জুলুম করা হয়েছে। যে অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এর সাথে জড়িতদের ইহকালে শাস্তি না হলেও পরকালে আল্লাহ এই জুলুমের বিচার করবেন।’

chardike-ad

আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কামারুজ্জামানের স্ত্রী নূরুন্নাহার, দুই ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী, হাসান ইমাম ওয়াফি, মেয়ে আতিয়া নূর ও ভাগ্নি রোকসানা জেবিনসহ স্বজনরা পরিবারের সদস্যরা কারাগারে প্রবেশ করেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে তারা কারাগারি থেকে বের হন।

এর আগে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কামারুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ।

কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী  জানান, বিকেল সোয়া তিনটার দিকে তারা কারা কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি পেয়েছেন। সেখানে বিকেল পাঁচটায় কামারুজ্জামানের সাথে তার পরিবারকে দেখা করতে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। ফলে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকলো।

২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছরের ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে আদেশ দেন। নিয়ম অনুযায়ী গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন দায়ের করে আসামি পক্ষ। কামারুজ্জামানের আপিল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চের অপর তিন সদস্য ছিলেন, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী।

এদিকে আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের সাথে পরবর্তী আইনি বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেইলেও তাদের অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

তার অন্যতম আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে তা নাকচ করে দিয়েছে। তবে বিকেল ৩টার দিকে চিঠি পাঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে বলেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী বলেন, ‘এ ধরনের রায়ে সবসময়ই পরিবারকে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী পরিবারকে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এ পর্যায়ে আলোচনার জন্য আইনজীবীদের সাক্ষাতের সুযোগ নেই। এ কারণে তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রী কারাগারে রাখা হয়েছে। ওই রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

এর বিরুদ্ধে কামারুজ্জামান রিভিউ আবেদন করলে আজ সোমবার তাও খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।