Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নড়াইলের গর্বকে “উপচে পড়া” সংবর্ধনা

masrafeeদুপুরে নড়াইলে পা রেখেই মনে হয়েছিল কী এলাহী কান্ডই না হতে যাচ্ছে এখানে। রাস্তার এখানে-ওখানে জড়ো হয়ে আছেন তরুণরা। প্রস্তুতি নিচ্ছিল মাশরাফিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার। কারো হাতে ছিল ব্যানার, কারো হাতে ফেস্টুন। কারো হাতে মাশরাফির ছবি। মাশরাফি-মাশরাফি স্লোগানও ভেসে আসছিল কানে। হবে না কেনো ? নড়াইলের গর্ব, যার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ তার সংবর্ধনা বলে কথা। বর্ণিল সাজে সেজেছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় এ জেলা নড়াইল। মাশরাফিবরণ ঘিরে নড়াইল হয়ে উঠেছিল উৎসবের নগরী।

মঙ্গলবার বিকেলে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাশরাফিকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে নড়াইলবাসী। যার আয়োজক ছিল নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। নড়াইলের এ কৃতি সন্তানের সংবর্ধনা হয়েছে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। যেখানে তৈরি করা হয়েছিল বিশাল প্যান্ডেল। জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের তোরণ, যেখানে সোভা পাচ্ছিল মাশরাফির খেলার নানা ছবি।

chardike-ad

সকাল থেকে অপেক্ষা ছিল মানুষের। হেলিকপ্টারে করে বিকেল চারটায় ঢাকা থেকে উড়ে এসে নড়াইল শহরের কুড়ির ডোব মাঠে নামেন মাশরাফি। হাতি, গরুরগাড়ী, ঘোড়ারগাড়ী, মোটর সাইকেল, মাইক্রো এবং প্রাইভেটকারের শোভাযাত্রাসহ সেখান থেকে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান সাড়ে চারটায়। হাজার হাজার মানুষ নড়াইলের গর্বিত সন্তানকে দেখতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাস্তার দুই পাশে। মাত্র ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে প্রায় আধাঘন্টা।

masrafee-2এ সময় অধিনায়ক হাত নেড়ে ভক্তদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জেলা পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নড়াইল প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয় মাশরাফিকে।

মাশরাফি বিন মর্তুজা ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নড়াইল-২ সংসদীয় আসনের সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, মাশরাফির বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন, মাতা হামিদা বেগম বলাকা, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু প্রমূখ। সংবর্ধনা প্রদান শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।