Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘শতাব্দীর সেরা গোল’!

এ রকম একটা শট ১৯ বছর আগে হুড়মুড়িয়ে প্রচারের আলোয় এনে ফেলেছিল ডেভিড বেকহ্যামকে৷ উইম্বলডনের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বেকহ্যামের গোলটা ছিল একেবারে সেন্টার লাইন থেকে৷ চেলসির বিরুদ্ধে চার্লি অ্যাডামের গোলের শটটা এল তারও কিছুটা পিছন থেকে৷ হিসেব বলছে ৬৬ গজ৷ বলা হচ্ছে, এই শতাব্দীর সেরা গোল৷

প্রতিপক্ষ ম্যানেজারের চেয়ার থেকে খোসে মৌরিনিও যে গোল দেখে মন্তব্য করেছেন, ‘দুর্দান্ত গোল৷ বিশ্বের যে কোনও ফুটবলার এ রকম গোল করতে চাইবে৷ দিয়েগো ম্যারাডোনা থেকে লিওনেল মেসি- সবাই৷ ওরা সবাই কিন্তু ক্যারিয়ারে এ রকম গোল করেনি৷’

chardike-ad

নিজের টিম স্টোক সিটিকে জেতাতে না পারলেও শনিবার প্রিমিয়ার লিগ জুড়ে সবচেয়ে আলোচনা বেশি থাকল এক নম্বর চেলসির বিরুদ্ধে অ্যাডামের এই গোলটা নিয়েই৷ যতই এ দিনই আর্সেনাল লিভারপুলকে ৪-১ উড়িয়ে দিক৷ যতই ২-১ ম্যাচ জিতে চেলসি শীর্ষস্থানে সাত পয়েন্টে এগিয়ে থাকুক৷ ২৯ বছরের স্কট মিডফিল্ডার অ্যাডামের এই গোলটা করে ‘সুপারহিরো’ হওয়ার সে রকম সম্ভাবনা নেই৷ তবু এক-দু’দিনের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের দখলটা নিয়ে ফেললেন৷ বাধ্য করলেন, দূরপাল্লার এ রকম আরও গোল মনে করতে এবং পরিসংখ্যান হাতড়ে খুঁজে বের করতে কয়েকটা উদাহরণ৷ অ্যাডামের গলায় অবশ্য বিস্ময় লেগেছিল ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও, ‘ভাবিইনি আমার পায়ে এতটা জোর৷ এই রকম ভালো গোলকিপারকে বিট করতে পারাটা সত্যিই স্পেশাল।’ চেলসির গোলে ছিলেন থিবৌ কুর্তোয়া, যিনি একার হাতেই চেলসিকে একাধিক ম্যাচে বাঁচিয়ে দিয়েছেন এই মওসুমে৷

শনিবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অ্যাডামের গোলেই ১-১ করেছিল স্টোক৷ শেষ পর্যন্ত লয়েক রেমির গোলে ২-১ জিতে যায় চেলসি৷ স্টোক সিটির বক্সের কাছে বল পা-ছাড়া করে চেলসি৷ সেন্টার সার্কেলের কিছুটা পিছনে বল পেয়ে যান অ্যাডাম৷ সার্কেলের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ে শট মারেন৷ কুর্তোয়া গোললাইন থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলেন৷ বল লক্ষ্য করে পিছনে ফিরতে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন৷ বল বেলজিয়ান গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে গোলে ঢুকে যায়৷ অ্যাডাম নিজের গোল সম্পর্কে আরও বলেছেন, ‘এই গোলটা চিরকাল মনে থাকবে৷ গোলিকে এগিয়ে থাকতে দেখেই শটটা নিই৷ ভাগ্য ভালো যে বলটা গোলেই ঢোকে৷ এ রকম গোল জীবনে একটাই হয়৷’

চার্লির গোল প্রচুর হাইপ তুললেও, চেলসি শেষ পর্যন্ত স্টোককে ২-১ হারিয়েছে৷ ইডেন হ্যাজার্ডের পেনাল্টি ও লয়েক রেমির গোলে৷ হ্যাজার্ড মরসুমে ন’টি পেনাল্টির সুযোগ পেয়েছেন, গোল করেছেন ন’টিতেই৷

ভিডিওঃ