Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম

North_koreaউত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে পেন্টাগন দাবি করেছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রযুক্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক প্রধান এডমিরাল উইলিয়াম গোর্টনি দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়া বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম।

গত মঙ্গলবার পেন্টগনের এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি যে সেগুলো বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে এবং সে কারণেই আমরা এর বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাচ্ছি। ব্যালিস্টিক রকেট পরিবাহক ব্যবস্থা ব্যবহার করে পারমাণবিক অস্ত্র পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং একই সময়ে পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণা উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেকে লক্ষ্য করে আঘাত হানার ক্ষমতা অর্জনের জন্যই করা হচ্ছে বলে ধারণা করছে পেন্টাগন। একই দিনে জনহপকিন্স স্কুল অফ এডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পিয়ংইয়ং-এর কাছে প্রায় ১ হাজার ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। এগুলো খুব সহজেই উত্তর কোরিয়ার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান আক্রমণ করতে সক্ষম।

chardike-ad

প্রতিবেদনে অবশ্য আরো বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে এখনও বিশেষ সুবিধা অর্জন করতে পারেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে হলে উত্তর কোরিয়াকে বিদেশি প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। তবে উত্তর কোরিয়ার তৈরি বিশেষ পারমাণবিক শক্তির মিসাইল দ্রুত পরিবর্তনশীল কেএন-০৮ সম্পর্কে আশংকা প্রকাশ করেছেন জেনারেল গোর্টনি। তিনি বলেন, উৎক্ষেপণের পর এটির আচরণ কেমন হবে তা বলা দুস্কর কিন্তু আক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে এই পূর্বপ্রস্তুতি একটি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত।

কোরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে তাদের কাছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে এবং প্রয়োজনে তারা সেগুলো তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কার্টিস স্কাপারোটি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, তাদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মতো যথেষ্ট প্রযুক্তি ও সহযোগিতাকারী রয়েছে। ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি উওর কোরিয়া বাস্তবিকই এ ধরনের মিসাইল তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং উৎক্ষেপণ করতে পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও উত্তর কোরিয়ার হামলার আওতায় চলে আসবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি, উত্তর কোরিয়া নিয়মিত যেসব পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে তার হুমকি বহুগুণ বেড়ে যাবে এবং দেশটি আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানিয়েছে এ ইনস্টিটিউট। এর ফলে, আন্তর্জাতিক ক্ষমতা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে দাঁড়াবে উত্তর কোরিয়া। এপি, ভিওএ।