Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রম রপ্তানির নামে মানুষ বিক্রি করছে’

jessorইরাক থেকে ফিরে আসা ইঞ্জিনিয়ার মো. সিদ্দিক সেখানে পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের ওপর বর্বর নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন।

শনিবার যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক জানান, শ্রম পাচারের নামে বাংলাদেশের কতিপয় রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে মানুষের কেনাবেচার হাটে তুলে বিক্রি করছে। সেখানে বিক্রি বাংলাদেশিদের দাস হিসেবে কিনে স্থানীয়রা তাদের ওপর চালাচ্ছে নারকীয় নির্যাতন। রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যারিয়ার ওভারসিস কনসালটেন্ট লি. গত বছরের ২২ মে যে ১৮০ জন বাংলাদেশিকে ইরাকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের উপরও অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

chardike-ad

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে সিদ্দিক জানান, ১৮০ বাংলাদেশিকে ইরাকের নাজাফ শহরে একটি বদ্ধ ঘরে আটকে সকাল-বিকেল-রাতে পাইপ ও লোহার রড দিয়ে পেটানো হয় এবং অনেকের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। কাউকেই ঠিকমতো খাবার দেওয়া হতো না, দিনে ২০ ঘণ্টা কাজ করিয়ে নেওয়া হতো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে বহুতল ভবনের ওপর উঠে কাজ করানো হতো। ক্যারিয়ার ওভারসিস কোম্পানির লোক ছাড়াও ভাড়া করা ইরাকি সন্ত্রাসীরা এ কাজ করতো।

ইরাকের বন্দিদশা থেকে পালিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহায়তায় গত ৪ এপ্রিল দেশে ফিরে আসেন ইঞ্জিনিয়ার মো. সিদ্দিক।

ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক মানব পাচারের দায়ে ক্যারিয়ার ওভারসিস কনসালটেন্ট লি. এবং তাদের সহযোগীদের শাস্তি, পাচারের শিকার ব্যক্তিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। একইসাথে যারা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে সতর্ককতার সঙ্গে এগুনোরও পরামর্শ দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকের ভাই মো. জাভেদ এবং মানবাধিকারকর্মী সরোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।