Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এশিয়া কাপ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

asia-cupনিজেকে বদলে ফেলতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুল হক বলেছেন, টুর্নামেন্টটিকে নতুন ফরম্যাটে নতুন করে আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।

প্রতি দুই বছরে চরিত্র বদলাবে টুর্নামেন্টের। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির আগে হবে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে হবে ওয়ানডে এশিয়া কাপ।

chardike-ad

জুন থেকে এসিসির কর্মপরিধি কমছে। ছোট হয়ে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। তাতে ৩১ বছর পুরনো এশিয়া কাপের ভাগ্যের আকাশে মেঘই দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু আশরাফুল হক বলেছেন, “এটা ঠিক যে এসিসির পরিধি কমে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরে মাত্র দুজন কাজ করবেন। উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আইসিসির অধিনে চলবে। তবে প্রতি দুই বছরে এশিয়া কাপ আয়োজিত হতে থাকবে। ভবিষ্যৎ সফর প্রোগ্রাম এফটিপিতে এই ইভেন্ট আগামী আট বছরের জন্য নির্ধারিত হয়ে আছে।”

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের আগে হবে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে বসবে আসর। আয়োজক ভারত। পরের আসর আবার ফিরে আসবে ওয়ানডে এশিয়া কাপ হিসেবে। ২০১৮ আসরটি ওয়ানডের হবে। পরের বছর ইংল্যান্ডে বসবে বিশ্বকাপ। ২০২০ সালে আবার হবে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। আশরাফুল বলেছেন, দলগুলোকে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আরো তৈরি করতেই এই পরিকল্পনা।

“২০১৬ তে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের আগামী আসরও হবে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক আসর। ফেব্রুয়ারি বা মার্চে হবে তা।” আশরাফুল বলেছেন, “আয়োজক দেশ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এই আসরে একটি বা দুটি সহযোগী সদস্য দেশও অংশ নেবে। বাছাইপর্ব শেষে তারা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে যোগ দেবে। ২০২০ সালে আবার টুর্নামেন্টটি টোয়েন্টি টোয়েন্টির ফরম্যাটে হবে। ২০২২ সালে আবার হবে ওয়ানডে এশিয়া কাপ।”

এশিয়া কাপ প্রথমবার আয়োজিত হয় ১৯৮৪ সালে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা এই আসর জিতেছে পাঁচবার করে। টুর্নামেন্টটি দুইবার জিতেছে পাকিস্তান।