দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা যেন থামছেই না। শুক্রবার রাজধানী জোহানেসবার্গে অভিবাসীদের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে হামলাকারীরা। বানিজ্যিক এলাকা জেপসটাউনে হামলাকারীরা হাতুড়ি ও কুড়াল নিয়ে জমায়েত হলে পুলিশ রবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে রাজধানী জোহানেসবার্গ থেকে পুলিশ ১২ হামলাকারীকে আটক করেছে।
গত সপ্তাহে বন্দরনগরী ডারাবানে অভিবাসীদের ওপর প্রথম হামলা হয়। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। হামলাকারীদের দাবি, এসব বিদেশি নাগরিকের কারণে তাদের চাকরি পেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার সরকারি হিসাব মতে ২৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার রাতে জোহানেসবার্গে অভিবাসীদের দোকানপাটে হামলা ও লুটপাট শুরু করে হামলাকারীরা। এসময় একটি গাড়ি ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রাফায়েল এনকোমো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ একদল লোক ওই এলাকায় একটি মিনিবাসে করে আসে। তাদের প্রত্যেকের কাছে ছুরি ছিল। তারা লোকদের ধাওয়া দিতে শুরু করে, তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালায়…. আমি যা দেখেছি তা ছিল ভয়াবহ।’
অভিবাসীরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ স্টেশনে ছুটে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুশ অভিবাসীকে থানায় আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জোহানেসবার্গ থেকে ১২জনকে আটক করেছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার ছুরি ও কুড়াল নিয়ে জেপসটাউনে জড়ো হয়। তারা এসময় ‘বিদেশিদের অবশ্যই চলে যেতে হবে’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। পরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।