অতি প্রাচীনকাল থেকেই গ্রিস পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশ। এর ভূমধ্যসাগরীয় তটরেখা ও বেলাভূমিগুলি বিখ্যাত। শুধু ভ্রমণপ্রিয়াসুরাই নয়, ব্যবসায়িক কাজেও প্রতি বছর অনেকে গ্রিস যান। কোন বাংলাদেশী নাগরিক ভ্রমণ করতে চাইলে অথবা ব্যবসার কাজে গ্রিস যেতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। ভারতে অবস্থিত ‘ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার’ এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
গ্রিসের বিজনেস ভিসা আবেদনের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য:
১. পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি থাকতে হবে)।
২. পাসপোর্টে কমপক্ষে দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
৩. ভিসা আবেদনের ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
৪. আবেদনের ফর্মে গ্রীসের স্থানীয় অভিভাবকের স্বাক্ষর লাগবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় অভিভাবকের স্বাক্ষর ছাড়াও আবেদন করা যায়।
সাম্প্রতিক তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে,
-ছবি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে
-ছবিতে আবেদনকারীর সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে
-ভিসা আবেদনের ছবি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এই লিংকটি দেখতে পারেন।
৫. ভিসার জন্য আবেদনের সময় ভিসা মাশুল বাবদ ৬০ ইউরো অথবা ৪৬২০ ভারতীয় রুপি অথবা প্রায় ৫২৭০ টাকা জমা দিতে হবে। (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ এর তথ্য)
৬. ভিসা মাশুল অফেরতযোগ্য এবং নগদ ভারতীয় রুপিতে পরিশোধ করতে হবে।
৭. ভিসার জন্য সার্ভিস চার্জ বাবদ আরও ৮৮৬ ভারতীয় রুপি জমা দিতে হবে।
৮. ‘নয়া দিল্লী’ ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করলে ‘আবেদনের সময় ভিসা চার্জ’ ও ‘ভিসার জন্য সার্ভিস চার্জ’ বাদে আর কোন চার্জ পরিশোধ করতে হবে না। কিন্তু ‘নয়া দিল্লী’ বাদ দিয়ে যদি মুম্বাই, জালান্দার, পুনে, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, কোচিন, কোলকাতা ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন আবেদন কেন্দ্র থেকে গ্রীসের ভিসার জন্য আবেদন করলে অতিরিক্ত মাশুল হিসেবে আরও ১৫৪০ ভারতীয় রুপি দিতে হবে। অন্যান্য ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে ‘নয়া দিল্লী’ ভিএফএস (VFS) ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ভিসা আবেদনের কুরিয়ার মাশুল বাবদ ১৫৪০ ভারতীয় রুপি নেয়া হয়।
| সার্ভিস | চার্জ |
|---|---|
| ভিসা আবেদনের চার্জ | ৬০ ইউরো/ ৪৬২০ ভারতীয় রুপি/ প্রায় ৫২৭০ টাকা |
| ভিসার জন্য সার্ভিস চার্জ | ৮৮৬ ভারতীয় রুপি/ প্রায় ১১১১ টাকা |
| ‘নিউ দিল্লী’ বাদে অন্যান্য ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে কুরিয়ার চার্জ | ১৫৪০ ভারতীয় রুপি/ প্রায় ১৯৩০ টাকা |
** ভিসা মাশুল অফেরতযোগ্য এবং নগদ ভারতীয় রুপিতে পরিশোধ করতে হবে।
* (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য)
৯. ভ্রমণকারীর গ্রীসে ভ্রমণের পর্যাপ্ত অর্থ আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ট্রাভেলারস চেক এর প্রমাণ পত্র জমা দিতে হবে।
১০. গ্রীসে ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইনস্যুরেন্সের অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
১১. ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে গ্রিস থেকে ফেরার টিকিট অথবা অনওয়ার্ড টিকেটের কপি অথবা ট্রাভেল এজেন্টের বুকিং কপি এর অরিজিনাল ও ফটোকপি জমা দিতে হবে।
১২. গ্রীসে অবস্থানরত কোন আত্মীয় অথবা বন্ধুর কাছে বেড়াতে যেতে চাইলে, গ্রীসের পুলিশ ষ্টেশনের অনুমোদনপত্র ভিসা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
১৩. পরিবহনের কাগজপত্র, যেমন- বিমানের টিকিট, জাহাজের টিকিট, ড্রাইভিং এর কাগজপত্র এবং যদি গ্রীসে নিজস্ব কোন গাড়ি থাকে তবে তার বৈধ কাগজপত্র ও গাড়ির ইনস্যুরেন্সের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
১৪. ব্যবসায়িক কাজে গ্রিস যাওয়ার জন্য গ্রীক কোম্পানির আমন্ত্রণপত্র জমা দিতে হবে।
১৫. ভিসার জন্য আবেদন করার পর আবেদনকারী তার ভিসা অ্যাপ্লিকেশনটি ট্র্যাক করতে পারেন। ট্র্যাক করার ফলে আবেদনকারী খুব সহজেই তার ভিসা প্রসেসিং এর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারে।
– ভিসা ট্র্যাক করার লিংক: ট্র্যাক ইউওর অ্যাপ্লিকেশন
– ভিসা ট্র্যাক করার ডিরেক্ট লিংক: ট্র্যাক ইউওর অ্যাপ্লিকেশন
ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে
– এই লিংকে ক্লিক করুন – Documents Required
– ডিরেক্ট লিংক: – Documents Required
গ্রীসের ভিসার আবেদনের ফর্মটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে
– ক্লিক করুন – ভিসা আবেদনের ফর্ম
– ডিরেক্ট লিংক: – ভিসা আবেদনের ফর্ম
