ওয়ানডেতে সিরিজ হারের পর টি২০ ম্যাচে দলের হাল ধরার জন্য উড়ে এসেছিলেন শহিদ আফ্রিদি। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। ওয়ানডের মতো টি২০তেও লজ্জায় ডুবতে হয়েছে সফরকারীদের।
আর এ হারের লজ্জ্বা নিয়েই শনিবার দুপুরে দেশের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে গেলেন আফ্রিদি। এদিন আফ্রিদিসহ পাকিস্তানের আরও ছয় ক্রিকেটার ঢাকা ছেড়ে গেছেন বলে বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানা গেছে।
শনিবার দুপুর দেড়টায় পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠেন আফ্রিদি ছাড়াও আহমেদ শেহজাদ, ওমর গুল এবং সোহেল তানভির। এছাড়া তিন ক্রিকেটার গেছেন শ্রীলংকায়। বর্তমানে পাকিস্তান ‘এ’ দল শ্রীলংকায় অবস্থান করছে। তাই ‘এ’ দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাদ নাসিম ও মুক্তার আহমেদ।
ওয়ানডে এবং একমাত্র টি২০ ম্যাচে হারলেও টেস্ট সিরিজ নিয়ে অনেক আশাবাদি আফ্রিদি। হোটেল ছাড়ার আগে টেস্ট সিরিজ এবং টি২০ ম্যাচটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে এবং টি২০তে হারলেও টেস্ট সিরিজে আমাদের দল অনেক অভিজ্ঞ। আশা করি এখানে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলবে তারা। কারণ মিসবাহ ও ইউনিস খানরা আছেন টেস্ট স্কোয়াডে।’
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান। যে দলটি ১৬ বছর ধরে অপরাজেয় থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছিল। সেই বাংলাদেশের কাছে (৩-০) তে হারলেও পাকিস্তানের তরুণ ওয়ানডে দলটি এক সময় সেরা দল হবে বলে মনে করছেন আফ্রিদি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি ভাগ্যর ওপর ছেড়ে দেই আমরা কিছু করতে পারবো না। নিজেদের ভাগ্য আমাদের নিজেদের গড়তে হবে। ভুলগুলো থেকে আমাদের শিখতে হবে, বিষন্ন হলে চলবে না। দলগুলোর ভালো সময়-খারাপ সময় আসে। আমি নিশ্চিত, এই ছেলেরাই পাকিস্তানের ভবিষ্যতের সূচনা করবে।’
একমাত্র টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। তবে এ টি২০ ম্যাচে ভালোভাবেই ব্যাট করছিলেন শহিদ আফ্রিদি। মুস্তাফিজের বলে মুশফিকের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তানের টি২০ অধিনায়ক।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের টি২০ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আউট ছিলাম না। তবে আম্পায়ারের ভুল হতেই পারে। আইসিসি এই ব্যাপারগুলো দেখবে। তবে সেদিন একটি সিদ্ধান্ত নয়, দুই বা তিনটি সিদ্ধান্ত এমন হয়েছে। আমার মনে হয়, এই সিদ্ধান্তগুলো আইসিসির নজরে এসেছে। কারণ একটি বাজে সিদ্ধান্ত একটি ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।’