মেঘালয় গোয়েন্দা পুলিশের জেরার মুখে অবশেষে মুখ খুলেছেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র দ্য নর্থ ইস্ট টুডে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনি শিলং পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর থেকে এতদিন বলে আসছিলেন উত্তরার বাসা থেকে অপহৃত হওয়ার পর ঠিক কিভাবে তিনি ভারতের মেঘালয় পৌঁছুলেন, সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। কিন্তু রোববার তিনি জানিয়েছেন তাকে চোখ বেঁধে ভারতে নিয়ে এসে ফেলে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সালাহউদ্দিনকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জেরা করেন মেঘালয়ের বিশেষ গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা। তখন তিনি তাদের জানান, ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহৃত হওয়ার পর তাকে গত দুই মাস বাংলাদেশেই একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। শুধুমাত্র একটি এক্সহস্টিং ফ্যান ছাড়া সে ঘরে আর কিছুই ছিল না।
এরপর একদিন তাকে চোখ বেঁধে, মুখ ঢেকে একটি গাড়িতে করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আনা হয়। সেখান থেকে আরেকটি গাড়িতে উঠিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চলার পর তাকে এক জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। সেখানেই সাইনবোর্ড পড়ে সালাহউদ্দিন জানতে পারেন তিনি শিলংয়ে আছেন।
এতদিন যাবত কিছুই মনে নেই বা স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার দাবি করা সালাহউদ্দিন গোয়েন্দাদের জেরায় নতুন এই তথ্যগুলো দিয়েছেন বলে জানান গোয়েন্দারা।