Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সালাহউদ্দিনের

salahuddinবৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মেঘালয়ে আটক বিএনপির `নিখোঁজ` যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশের কাছে সহজেই হস্তান্তর সম্ভব হচ্ছে না। মেঘালয় পুলিশ চাইছে, শিলংয়ে আইনি যে বিষয়গুলো সম্পন্ন করা দরকার সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হবে। এছাড়া হাসপাতালে সালাহউদ্দিনের কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও সম্পূর্ণ করতে হবে।

মেঘালয়ের এক ঊর্ধ্বতন আইন বিশারদ জানান, ফরেইনার অ্যাক্ট আইনের লঙ্ঘন হওয়ায় সালাহউদ্দিনকে প্রথমে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ সালাহউদ্দিনকে জেলে যেতে হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সালাহউদ্দিনকে আদালতে তোলার আগে সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো আপিল আসে তাহলে আদালত সেটি পরীক্ষা করে দেখবে বলেও জানান তিনি।

chardike-ad

এদিকে সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সালাহউদ্দিনকে বাংলাদেশে `পুশব্যাক` করা হতে পারে। তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে।

মেঘালয়ের পুলিশ প্রধান রাজিব মেহতা বলেছেন, মেঘালয়ের সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহউদ্দিনকে ছাড়পত্র দিলে তবেই তাকে আদালতে তোলা হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি অতি শিগগিরই সালাহউদ্দিন আহমেদ সুস্থ হয়ে উঠবেন। তারপর তাকে হস্তান্তর অথবা সাজার বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।

পুলিশ প্রধান আরো জানান, সালাহউদ্দিনকে আদালতে তোলা এখন পর্যন্ত আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তবে যদি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোনো আদেশ আসলে সেটি অনুসরণ করা হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সালাহউদ্দিনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি কেবল বাংলাদেশে হস্তান্তর করার পর হতে পারে।

সালাহউদ্দিনকে বাংলাদেশে `পুশব্যাক` বা হস্তান্তরের বিষয়ে বিএসএফ ডিআইজ এসকে সিং বলেন, সালাহউদ্দিনকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হলে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।

মেঘালয় সিভিল হাসপাতালের ড. ডি জে গোস্বামী বলেন, ইসিজি রিপোর্টে সালাহউদ্দিনের হার্টের অবস্থা স্বাভাবিক পাওয়া গেছে। তবে আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষায় তার কিডনির অবস্থা স্বাভাবিক পাওয়া যায়নি। এ জন্য সিটি স্ক্যান করতে হবে।

তিনি বলেন, সিটি স্ক্যানের পর একজন সার্জন নিয়োগ করতে হবে তার কিডনির জন্য। তাছাড়া সালাহউদ্দিনের শরীরে কোনো চর্মরোগের জটিলতা আছে তার জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দেখানো হবে। ড. ডি জে গোস্বামী আরো বলেন, সালাহউদ্দিনকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকদের নিয়ে একসঙ্গে বসতে হবে। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, সরবরাহ করা খাবার গ্রহণ করছেন সালাহউদ্দিন।

এ দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে মেঘালয়ের পথে রোববার রাতে বিমানযোগে কলকাতায় পৌঁছেছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। সন্ধ্যায় ভারতের ভিসা পাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে কলকাতায় পৌঁছান তিনি।

সোমবার কলকাতা থেকে তিনি বিমানে আসামের গৌহাটি যাবেন। সেখান থেকে সড়কপথে যাবেন শিলংয়ে। তার একজন আত্মীয় জানান, সোমবার সকালে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিমানে মেঘালয়ের শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন হাসিনা আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ রাতে ‘নিখোঁজ’ হন সালাউদ্দিন আহমেদ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কয়েকদিন আগেও অভিযোগ করেছিলেন যে সালাউদ্দিন র্যাবের কাছে আছেন। তবে র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময়ই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।

সৌজন্যেঃ জাগোনিউজ২৪.কম