বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে গ্ল্যামারহীন হিসেবে অভিহিত করেছে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম। বাংলাদেশ সফরের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন, দুই বছর পর হরভজন সিংকে দলে নেয়া প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে এভাবে হেয় করেছে টাইগারদের।
ওয়ান ইন্ডিয়া নামের ওই ওয়েবসাইটটির শিরোনাম ছিল ‘গ্ল্যামারহীন বাংলাদেশ সফরের দল নিয়ে বিতর্ক, সুযোগ হরভজনকে’। এতে বলা হয়, ‘এমনিতে ক্রিকেটের বামন শক্তি বাংলাদেশের দল নির্বাচন নিয়ে কারও খুব একটা আগ্রহ ছিল না। না থাকারই কথা।
ভারত একেবারে প্রথম সারির দল, বিশ্বসেরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ তালিকায় একেবারে শেষের দিকে রয়েছে। এহেন বাংলাদেশ সফরের দল নির্বাচনের বিষয়টি হঠাৎ করেই চলে এসেছে খবরের শিরোনামে। আর তার দায় পুরোপুরি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ও তার নির্বাচকদের।
এদিন সকলকে অবাক করে প্রায় দু’বছর পর টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। আর তাতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। ধোনির নেতৃত্বে টেস্টে গত দুবছর ধরে ব্রাত্য ছিলেন ‘টার্বানেটর’ নামে খ্যাত হরভজন। গত রঞ্জি মরশুমেও তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি। আইপিএলে সাফল্যকে মাপকাঠি ধরেই কি ফের একবার ভাজ্জিকে ভারতীয় দলে ফেরানো হল? নির্বাচকেরা কিন্তু বলছেন, না। সেজন্য নয়।
বাংলাদেশ দলে ৬ জন বাঁহাতি ব্যাটসম্য়ান রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই হরভজনকে দলে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচকদের এহেন যুক্তিতেও যদিও বিতর্ক থামছে না। টেস্টে ধোনি জমানা শেষ হতেই কি ভাজ্জিদের সুযোগ তৈরি হল? উঠছে সেই প্রশ্নও। অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজাকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চোট না সারায় দলে রাখা হয়নি মহম্মদ শামিকেও।
ওয়ানডে দলে তাঁর বদলে সুযোগ পেয়েছেন ধবল কুলকার্নি। প্রসঙ্গত আগামী মাসে অর্থাৎ জুনের ৭ তারিখ পদ্মাপারে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। ১০ জুন থেকে সেখানে প্রথম এবং একমাত্র টেস্ট শুরু হবে। দীর্ঘ নয় বছর পর ফতুল্লা স্টেডিয়ামে এই টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেই মাসেরই ১৮, ২১ ও ২৪ তারিখ তিনটি একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-বাংলাদেশ।’