বাংলাদেশকে এবার কলঙ্কিত করার নতুন কৌশল নিয়েছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। আনন্দবাজার আজ এক রিপোর্টে বলছে ভারতীয় সমর্থকের ওপর মিরপুর স্টেডিয়ামে হামলা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের কোনো সংবাদপত্রে এখবর প্রকাশ হয়নি। আনন্দবাজারের রিপোর্টে বলা হয়
চেনা সাজেই ঢাকা গিয়েছিলেন ভারতের হয়ে গলা ফাটাতে। যেমনটা তিনি ভারতের প্রত্যেক খেলাতেই করে থাকেন। সারা দেহে তিরঙ্গা এঁকে রবিবারেও যথাসময়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় সমর্থক সুধীর গৌতম। কিন্তু ম্যাচ শেষে তাঁকে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হবে কল্পনাও করতে পারেননি সুধীর। রবিবারের ওই ম্যাচে ভারত হারার পর স্টেডিয়ামের বাইরে বাংলাদেশের এক দল সমর্থক তাঁর উপর হামলা চালায় বলে দাবি সুধীরের।
তিনি জানান, স্টেডিয়াম থেকে বেরনো মাত্রই কিছু লোক এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। তেরঙ্গা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন পুলিশকর্মী তাঁকে উদ্ধার করে অটোতে তুলে দেন। অভিযোগ, সেই সময় অটো লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়ে ওই সমর্থকরা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হারার পর থেকেই সমর্থকরা তেতে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের শোচনীয় পরাজয়ে ছবিটা অনেকটাই বদলে যায়, মাঠের ভিতরে এবং বাইরেও।
বাংলাদেশের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর ভারতীয় টিম প্রবল সমালোচনার মধ্যে পড়েছে ভারতে। অনেক মিডিয়া বাংলাদেশের বিজয়ের খবর দিতেও ছিলো কুন্ঠিত। যদিও বাংলাদেশের খেলোয়ারদের পেশাদারিত্বের কারনে কোনো নেতিবাচক খবর প্রকাশ করতে পারেনি ভারতীয় মিডিয়া। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের ওপর দায় চাপিয়ে রিপোর্ট করলো আনন্দবাজার পত্রিকা।