Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এক মাস ধরে সৌদি হাজতে মুফতি ফায়জুল

mufti-foyjulপ্রায় এক মাস হতে চললো। এখনো জামিন পেলেন না বরিশালের চরমোনাই পীরের ভাই ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ ফায়জুল করিম। তিনি এখনও সৌদি আরবের সিআইডি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাকে মুক্ত করতে সরকার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছে দলটি।

অভিযোগ উঠেছে, সৌদি পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে আহলে হাদিস (লা মাজহাব) গ্রুপ সৈয়দ ফায়জুল করিমকে আটক করানো হয়। পরবর্তী সময়ে তার জামিন না হওয়ার পেছনে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এক ইসলামি চিন্তাবদি ও টিভি ব্যক্তিত্বের হাত রয়েছে।

chardike-ad

গত ২৬ রিয়াদে স্থানীয় সময় রাত ১২টায় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে সৈয়দ ফয়জুল করীমকে আটক করে সৌদি পুলিশ। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ওয়াজের সিডি/ডিভিডি যাচাই করা হয়। সেই থেকে তিনি সৌদি সিআইডি পুলিশ হেফাজতে আছেন।

এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম জানান, মুফতি সৈয়দ ফায়জুল করিমকে মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযাগ অব্যাহত আছে। তাকে দেশে নিয়ে আসার জন্য দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামাদের সুপারিশসহ পৃথক পৃথক পত্র সৌদিতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনইতো আশা করি জামিন হয়ে যাবে। কিন্তু হয়নি। গত রোববারও আমরা আশা করেছিলাম জামিন হয়ে যাবে, হয়নি।’

দলটির কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে মুক্ত করে আনার জন্য দুই সপ্তাহে আগে বাংলাদেশ থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা নেছার উদ্দিনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি এখন সৈয়দ ফায়জুল হককে মুক্ত করে আনতে পারেনি।

ওই নেতা জানান, প্রথমত সৈয়দ ফায়জুল হক সরাসরি সৌদি আরব যাননি। তিনি ওমান হয়ে সৌদি গেছেন। তারপর ওমরা করার উদ্দেশ্যে তার মক্কা যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তিনি রিয়াদে একটি মাহফিলে বক্তা হিসেবে যোগ দেন। বাংলাদেশের মতো সৌদিতে বিপুল সংখ্যক ভক্ত নিয়ে মাহফিল করার নিয়ম নেই এবং এটা বেআইনি। এসব কারণে তার জামিন পেতে ঝামেলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ জানান, সৈয়দ ফয়জুল করীম রিয়াদের আজিজিয়া শহরে একটি মাহফিল যোগ দেন। স্থানীয়রা পুলিশের কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি না নেয়ায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, সৈয়দ ফয়জুল হক কারাগারে নন, তিনি সৌদি সিআইডি পুলিশের হেফাজতে আছে। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আমরা গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করে একটি পত্র দিয়েছি। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে। তিনি আবার ওই পত্রটি সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করছি তিনি।