Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গাফফার চৌধুরীকে জুতা মারলে সাওয়াব হবে: আন্দালিব পার্থ

PArtho gaffarলেখক ও কলামিস্ট গাফফার চৌধুরীকে জুতা মারলে সাওয়াব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি (মঞ্জুর) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

শনিবার সংবাদপত্র দৈনিক যুগান্তরে ‘আল্লাহর নাম ও নারীর পর্দা নিয়ে গাফফার চৌধুরীর বিরূপ মন্তব্য’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের লিঙ্ক তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করে এমন মন্তব্য করেন।

chardike-ad

ফেসবুকে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ লিখেন, ‘জনাব লতিফ সিদ্দিকী যখন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছিল তখন বলেছিলাম, যে এই লোককে জুতা মারলে মিনাতে শয়তানকে পাথর মারার মত সাওয়াব হয়তো হবে না, তবে কিছু সাওয়াব অবশই হবে।
এখন এই সংবাদটি পরার পর আমার মনে হছে যে, জুতা মারার ব্যাপারটা গাফফার সাহেব এর ওপরও প্রযোজ্য…।। যে যত বড় কলামিস্ট, লেখক, রাজনীতিবিদ বা যাই হোক না কেন, ইসলামকে অপমান করলে সে সবচেয়ে বড় অপদার্থ, মূর্খ।

 

statusপ্রসঙ্গত, অনলাইন নিউজ পোর্টাল শীর্ষনিউজ ডটকমের বরাত দিয়ে যুগান্তরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ জুলাই নিউইয়র্কে বিকালে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট (গ্রহণ) করেছিল।’

শীর্ষ নিউজের বরাতে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব। আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টুয়ের মেয়েরা হায়েজ-নেফাজ পড়বে! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে?’

তিনি বলেন, ‘মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডেন্টিটি। আসলে কী তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভূষা ইসলামিক করে আত্মপ্রতারণা করছে তারা।’

গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘এখন যুগ পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশে বোরকা পরার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে। এসব ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’ রাসুল আর রসুল্লাহ শব্দটি এক নয় দাবি করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’

কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ার কথা উল্লেখ করে গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’

এছাড়া সেসময় বিএনপি-জামায়াতের কড়া সমালোচনা করাসহ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসা করেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক-কলামিস্ট বেলাল বেগ, সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান, ড. নূরন্নবী, নূরনবী কমান্ডার, ইমদাদ চৌধুরী, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, জাসদ নেতা আবদুল মোসাব্বির, নূরে আলম জিকু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সেক্রেটারি ফখরুল আলম, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান, সেক্রেটারি দর্পণ কবীর, যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের নেতা টমাস দুলু রায় প্রমুখ।

এ বিষয়ে গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করে যুগান্তর।