Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবার কচ্ছপের জন্যে কিমের নৃশংসতা

kimএকনায়ক কিম জং উনের হত্যালীলা নতুন কিছু নয় বলেই দাবি বিরোধীদের। কচ্ছপের এক বিশেষ প্রজাতি (টেরাপিন)-র যত্ন ঠিক মতো না হওয়ায় উত্তর কোরিয়ায় এবার প্রাণ গেল এক খামারের ব্যবস্থাপকের।

মে মাসের মাঝামাঝি তিয়াডংগং টেরাপিন খামার ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন কিম। বাবার ইচ্ছেতে কয়েক বছর আগে তিনিই তৈরি করেন ওই খামারটি। শাসককে নিজেদের কীর্তি ঘুরিয়ে দেখাতে নিজেই এগিয়ে এসেছিলেন সেখানকার ব্যবস্থাপক। কিন্তু বিপত্তি বাধে কিছুক্ষণ পরেই।

chardike-ad

খামারে প্রিয় টেরাপিনদের দেখে মুখে হাসি ফোটেনি কিম জংয়ের। বরং খাবার না পেয়ে কয়েকটি ছোট কচ্ছপ মারা গিয়েছে শুনেই চটে যান তিনি।

ব্যবস্থাপক বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ মাঝে মাঝে চলে যায় বলেই খাবার, পানির জোগানের অভাব হয়। বড় টেরাপিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলেও ছোটদের উপর এর প্রভাব পড়েছে বেশি। কিন্তু সে সব যুক্তি কানেই তোলেননি কিম।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কেবল বকাঝকাতেই মেটেনি শাসকের রোষ। তিনি বেরোনোর পরই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তিয়াডংগং খামারের ম্যানেজারের শরীর।

এ নিয়ে বিশদ আর কিছুই জানার উপায় নেই। কারণ উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে এই খবর ঠাঁই পায় না। আর দক্ষিণ কোরিয়ার সূত্রে মেলা খবর সত্যি কিনা তা যাচাইয়েরও কোনও উপায় নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার হিসাব অনুযায়ী, গত দুবছরে কিমের রোষানলে প্রায় ৭০ জন সরকারি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে।