Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের হারে আনন্দবাজারের ‘উল্লাস’

anandabazarভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই যেন স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর এবার হারতে হয়েছে প্রথম ওয়ানডেতেও। তাও আবার আট উইকেটের বড় ব্যবধানে।

আর তাতে যেন খানিকটা উচ্ছ্বসিত ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক আনন্দবাজার। ‘রাবাদার অভিষেকের হ্যাটট্রিক উড়িয়ে দিল বাংলাদেশকে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে তারা লিখেছে –

chardike-ad

অভিষেকেই কাগসিও রাবাদার হ্যাটট্রিক সহ ছ’উইকেট। এবং ফাফ দু’প্লেসির হাফসেঞ্চুরি। দুইয়ে মিলে পদ্মাপারে প্রথম ওয়ান ডে যুদ্ধে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

এবি ডে’ভিলিয়ার্স ওয়ান ডে সিরিজে নেই। ডেল স্টেইনও না। কিন্তু তার পরেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ন্যূনতম যুদ্ধটা দিতে পারেনি মাশরফি মর্তুজার বাংলাদেশ।

বৃষ্টির দাপটে শুক্রবার ম্যাচ শুরু হতে হতেই বেশ দেরি হয়ে যায়। পঞ্চাশ ওভারের বদলে ম্যাচ দাঁড়ায় চল্লিশ ওভারের। কিন্তু প্রথম চার ওভারেই ম্যাচ অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। ফাগসিও রাবাদার এটাই প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ ছিল। আর সেখানে কি না তিনি শুরুই করলেন হ্যাটট্রিক দিয়ে! বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পরপর তামিম ইকবাল, লিটন দাস এবং মাহমুদউল্লাহকে তুলে নেন রাবাদা। পরে আরও তিনটে। সব মিলিয়ে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারের বোলিং হিসেব দাঁড়ায় ৮-৩-১৬-৬!

রাবাদার হ্যাটট্রিকের রামধাক্কা থেকে আর উঠেও দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিব-আল-হাসান সর্বোচ্চ রান করেন—৪৮। পুরো চল্লিশ ওভারও খেলতে পারেনি তারা। মাত্র ৩৬.৩ ওভারে ১৬০ রানেই সব শেষ। নাসের হোসেন (৩১), সৌম্য সরকার (২৭), মুশফিকুর রহিম (২৪) চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে প্রতিরোধের কোনও দেওয়াল তৈরি হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংকেও বা সমস্যায় ফেলা গেল কোথায়? অস্থায়ী অধিনায়ক হাসিম আমলাকে (১৪) মাশরফি তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিলে কী হবে, বাকি ব্যাটিংয়ে কেউ সে ভাবে বিষ ছড়াতে পারেননি। মুস্তাফিজুর রহমান ভাল বল করেছেন। কিন্তু উইকেট পাননি। বরং ফাফ দু’প্লেসি এবং রাইলি রোসো মিলে প্রয় দশ ওভার আগে ম্যাচ শেষ করে দেন। দু’প্লেসি অপরাজিত ৬৩ করে যান। রোসো করেন অপরাজিত ৪৫। আট উইকেটে অনায়াসে ম্যাচ জিতে নিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।