কোরিয়ায় মার্স ভাইরাসের ‘সন্দেহভাজন’ বহনকারী হিসেবে ‘অন্তরীণ’ থাকা সর্বশেষ ব্যক্তিটিকেও আজ মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর ফলে কোরিয়ায় এই মুহূর্তে মার্স ভাইরাসের আর কোন ‘সন্দেহভাজন’ বহনকারী নেই। এছাড়া বিগত ২২ দিনে নতুন করে এ ভাইরাসে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি। তবে পুরনো আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ সোমবার সকালে মার্স সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের এক যৌথ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

korea_vice_health_misiter
মার্স সংক্রমণ প্রতিরোধে কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আজ সোমবার আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখছেন কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছাং ওক জু (বাঁয়ে)। ইয়নহাপ নিউজ।

কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, মে মাসের ২০ তারিখে কোরিয়ায় প্রথম মার্স ভাইরাসের আক্রমণ সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ১৬ হাজার ৭ শ’ জনকে এ ভাইরাসের সন্দেহভাজন বহনকারী হিসেবে অন্তরীণ করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। শরীরে কোন রোগের লক্ষণ না থাকা সাপেক্ষে এদেরকে পর্যায়ক্রমে অন্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এরই ধারাবিকতায় আজ সোমবার নাগাদ সব সন্দেহভাজন মার্স বহনকারীই ‘সন্দেহমুক্ত’ হিসেবে ছাড়পত্র হয়েছেন।

chardike-ad

এছাড়া বিগত ২২ দিন যাবত দেশটিতে মার্স আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৬ জনে স্থির রয়েছে। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩৮ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং ১২ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এদের মধ্যে ১১ জনই ইতোমধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষায় মার্সমুক্ত প্রমাণিত হয়েছেন।

মার্স ভাইরাসে কোরিয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৬ জন। তবে গত ১৫ দিনে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায় নি।

এমতাবস্থায় মার্স ভাইরাসে নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত না হলে আগামী মাসের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়া এ ভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।