রোববার দুপুরের পর আর বৃষ্টি হয়নি। সোমবার সকাল থেকেই আকাশে রোদ্দুর। মাঠমুখী জনতার দলটা ক্রিকেট দেখার আশা নিয়েই বাসা ছেড়েছিল। দুদল মাঠে এসেছিল সাড়ে আটটায়। পৌনে নয়টায় ঢাকা টেস্টের এফিটাফ লেখা হয়ে গিয়েছিল।
সাড়ে নয়টায় ম্যাচ শুরুর সময় ধরে আসতে থাকা সাংবাদিকদের দলটাও মাঠে পৌঁছায়নি। হাতে গোনা কয়েকজনের উপস্থিতিতেই দুদলের ম্যাচ শেষের ধন্যবাদ পর্ব শেষ। তাই নয়টার পর মাঠে আসা প্রত্যেকেরই চোখ ছানাবড়া। এমন রোদ্দুর, অথচ খেলা হচ্ছে না, পঞ্চম দিনের খেলা বাতিল, ম্যাচ ড্র!
কয়েকজনের বিস্ময়ের ঘোর শেষ হতেই সাংবাদিকদের দলটাও ধীরে ধীরে ভারী হলো। মাঠে তখন ফুটবল খেলছিল বাংলাদেশ। প্রায় মিনিট ত্রিশেক ফুটবল খেলার পর ভদ্রতাসূচক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হলো। সেটিও বিলম্বিত ছিল অনুষ্ঠানের অতিথিদের অনুপস্থিতির কারণে।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে, এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাছাড়া ম্যাচ ড্র ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে দুদলের সঙ্গে আলাপ না করেই। ম্যাচ অফিসিয়ালরাই ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ড্রয়ের বিষয়টা বাংলাদেশ দল ওয়ার্ম আপের আগেই জানতে পেরেছিল। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “আমরা ওয়ার্ম আপের আগেই শুনতেই পাই। পঞ্চম দিন হয়তো আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা ম্যাচ অফিসিয়াল যারা থাকেন তাদের সিদ্ধান্ত থাকে। সেদিক থেকে এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। যেটা জানতে পারলাম, আউটফিল্ড কিছু জায়গায় ভেজা রয়েছে। যা কিনা শুকাতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগবে, যদি সূর্যের দেখা মেলে। তারপরও যতক্ষণ খেলা হবে ততক্ষণে ফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই তা ভেবেই হয়তো তারা মনে করেছে খেলা বাতিল করার এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। এটা আমাদের নেই। আমার মনে হয়, দুই দলের কাউকে জিজ্ঞেসও করা হয়নি। আমি যতদূর জানি, ম্যাচ অফিসিয়ালরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হয়তো এই সময়ে ম্যাচ খেলার উপযোগী নয়।”
এমন রোদ্রকোজ্জল আবহাওয়ার পরও খেলা না হওয়ায় বিস্মিত বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিক।
তিনি বলেন, “বিস্মিত বলতে এর আগে যেটা বললাম, এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। এখন ব্যাপারটা জানতে পারলাম। আমরা খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম। আমরা এখন যদি ইনিংস ঘোষণাও করতাম ওদের কিন্তু পুরো দিন খেলতে হত। হয়তো ফল হতো না কিন্তু আমরা কিছু অর্জন করতে পারতাম। হয়তো ম্যাচ অফিসিয়ালরা যা ভেবেছেন সেটা তাদের ব্যাপার। নিয়ম নিয়ে তো আর আমরা কিছু বলতে পারবো না।