Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চোখের জলে সাঙ্গাকারার বিদায়

sangakara
ঠোঁটে হাসি আর চোখে জল; ঠিক এভাবেই ক্যারিয়ারের শেষ মুহূর্তটা কাটিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা।

চারশর বেশি ওয়ানডে, ১৩০টির বেশি টেস্ট এবং ১৫ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে ব্যাট- প্যাড তুলে রাখলেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিভা কুমার সাঙ্গাকারা। দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে বিদায় লগ্নে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তার জন্য চোখের পানি গড়িয়েছে অন্যদেরও।

কলম্বোতে বিদায়ের সময় মর্মস্পর্শী এক বক্তৃতা দিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়জুড়ে সুবক্তা হিসেবে দারুণ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তার ক্রিকেট দর্শন বোঝা গেছে তার অসাধারণ সব বক্তৃতায়। নানা সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি যে সব কথা বলেছেন, তার একটা সংকলন বের হলে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম সেরা বই।

chardike-ad

নিজের বিদায়ী বক্তব্যে পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে, কী আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে, আমি তখন আমার মা- বাবা ছাড়া আর কারো দিকে তাকাই না। আমার প্রয়োজনই পড়ে না। মা- বাবা, তোমাদের আমি বিব্রত করতে চাই না। কিন্তু এটাই সত্যি। নিজের পরিবার কখনো নিজে বেছে নেয়া যায় না, এজন্য আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমার কাছে আমার পরিবার তুমুল অনুপ্রেরণার উৎসব। ভাই-বোনরাও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

ক্যারিয়ারে নিজের সবচেয়ে বড় অর্জনের কথা বলতে গিয়ে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘সেঞ্চুরি, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি জেতা বা এ রকম কিছু নয়। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো বন্ধুরা। খেলতে এসে যখন দেখি, ৩০ বছরের পুরোনো বন্ধুরাও আমার খেলা দেখছে, তখন খুব ভালো লাগে। এটাই আমার সেরা অর্জন।’

উপস্থিত সব দর্শককেও ধন্যবাদ দেন সাঙ্গাকারা। একই সাথে নিজের কোচ সুনিল ফার্নান্দো ও বার্টি উইজেংসিংহেকেও স্মরণ করেন তিনি। সাঙ্গাকারারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিজের সতীর্থ ও ভারতীয় দলকে। নিজের শেষ প্রতিপক্ষ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিরাট কোহলি তার দলকে ধন্যবাদ। কারণ তারা আমাদের এখানে এসে খেলেছেন। শেষ সিরিজে আমি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করেছিলাম। তারা সেটা দিয়েছেন।’

সব শেষে নিজের দলকে অনুপ্রাণিত করে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘ম্যাথুজ ও তার দল খুব মেধাবী। তাদের সামনে পড়ে আছে অনেক উজ্জ্বল মুহূর্ত। তাদের কেবল দরকার সৎ ও সাহসী থাকা।’ এ সব কথা বলার সময় প্রায়ই ধরে আসে সাঙ্গাকারার কণ্ঠ। বারবার আবেগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তার চোখে জল দেখা গেছে। তা দেখে কেঁদেছেন তার বাবাসহ উপস্থিত সমর্থকরাও।