Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হার দিয়ে ভারত সফর শুরু টাইগারদের

bangladesh-teamবড় হার দিয়ে ভারত সফর শুরু করল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে মুমিনুল হকের দলের বিপক্ষে ৯৬ রানে জিতেছে ভারত ‘এ’ দল। জয়ের নায়ক গুরকিরাত সিং মান। পার্শ্বনায়ক বলা যায় রিশি ধাওয়ানকে।

ব্যাট হাতে লোয়ার-মিডল অর্ডারে এই দুজনের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে দলকে এনে দেয় বড় পুঁজি। পরে বল হাতে অফ স্পিনার গুরকিরাত নিয়েছেন ৫ উইকেট, পেসার ধাওয়ান নিয়েছেন দুটি।

chardike-ad

৩২৩ রান তাড়া করতে নেমে ৪২.৩ ওভারে ২২৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংসটি স্রেফ একটি জুটির গল্প। ৮৭ রানের মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেট, ১৯ রানে শেষ ৫টি। আর মাঝে ষষ্ঠ উইকেটে ১২১ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও লিটন দাস।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ইনিংস উদ্বোধন করার মতো ব্যাটসম্যান ছিলেন চারজন। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন রনি তালুকদার, এনামুল হক নামের তিন নম্বরে।

৩৪ রান তুলতেই তিনজনই বিদায় নেন। তিনটি উইকেটই নেন বাঁহাতি পেসার শ্রীনাথ অরবিন্দ। পরে রিশি ধাওয়ান আক্রমণে এসে ফেরান অধিনায়ক মুমিনুল হক (১৯) ও সাব্বির রহমানকে (২৫)।

বিপর্যয়ের মধ্যেই প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেন নাসির ও লিটন। দুটি করে চার-ছক্কায় ৫২ তুলে গুরকিরাতের প্রথম শিকার হন নাসির।

বলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া এই জুটি ভাঙার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংসও। ৫ উইকেটে ২০৭ রান থেকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল গুটিয়ে যায় ২২৬ রানেই!

৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ বলে ৭৫ করে গুরকিরাতের অফ স্পিনে বোল্ড হয়েছেন লিটন। শেষ তিন উইকেটও নেন গুরকিরাত। এর আগে ৩৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে সর্বমোট ৫ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার এই ম্যাচেই নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর এর জন্য তিনি খরচ করেন ২৯ রান।

সকালে ব্যাট হাতেও গুরকিরাত খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস, দারুণ গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছেন সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে।

বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে বুধবার টস জিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক মুমিনুল বেছে নেন ফিল্ডিং।

উন্মুক্ত চাঁদ ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটে প্রথম ৫ ওভারেই ভারত ‘এ’ তুলে ফেলে ৪৪। ভারত ‘এ’ অধিনায়ক চাঁদকে (১৬) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।

পরে ভেঙে পড়েন তাসকিন নিজেই। ৫ ওভারে ৪৬ রান দেওয়ার পর সাইড স্ট্রেইনে মাঠ ছাড়েন, আর বোলিং করতে পারেননি।

মনিশ পান্ডে, সুরেশ রায়না, কেদার যাদবরাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৭তম ওভারে ভারত ‘এ’ দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৬।

এরপর উইকেটকিপার স্যামসনকে নিয়ে আগারওয়ালের প্রতিরোধ। ৫৬ রান করা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আগারওয়ালকে ফেরান নাসির। ষষ্ঠ উইকেটে গুরকিরাতকে নিয়ে স্যামসনের জুটি ১০২ রানের। ৫৮ বলে ৬৫ করে আউট হন গুরকিরাত।

সপ্তম উইকেটে রিশি ধাওয়ানকে নিয়ে ভারতের রান তিনশর ওপারে নিয়ে যান স্যামসন। ৮ ওভারে ৭৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৭৬ বলে ৭৩ করেন স্যামসন, আটে নেমে ৩৪ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন ধাওয়ান। ভারত ‘এ’ দল ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩২২ রান।

দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের নাসির ও শফিউল। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিলেও শেষ ৪ ওভারে রুবেল দেন ৪২ রান।

বোলারদের মতো পরে ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরাও। তাই বড় পরাজয় মেনে নিতে হয় দলকে। মাসখানেক আগে ‘এ’ দলের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৭ রান করে ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন গুরকিরাত।

৩ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার, একই মাঠে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত ‘এ’: ৫০ ওভারে ৩২২/৭ (আগারওয়াল ৫৬, চাঁদ ১৬, মনিশ ১, রায়না ১৬, যাদব ০, স্যামসন ৭৩, গুরকিরাত ৬৫, ধাওয়ান ৫৬*, কর্ন ১১*; তাসকিন ১/৪৬, শফিউল ২/৬০, রবেল ০/৫৬, সৌম্য ০/২৩, নাসির ২/৫১, সানি ১/৫৭, সাব্বির ০/১১, মুমিনুল ০/১১)।

বাংলাদেশ ‘এ’: ৪২.৩ ওভারে ২২৬ (রনি ১৩, সৌম্য ৯, এনামুল ০, মুমিনুল ১৯, সাব্বির ২৫, লিটন ৭৫, নাসির ৫২, সানি ৬, রুবেল ৩, শফিউল ২, তাসকিন ০; ধবল ০/৪৬, অরবিন্দ ৩/৩৪, ধাওয়ান ২/৫১, কর্ন ০/৫৩, গুরকিরাত ৫/২৯, রায়না ০/১৪)।