নতুন করে পারমাণবিক চুল্লির কাজ শুরুর ঘোষণা বাস্তবায়নের পথে এগোলে উত্তর কোরিয়াকে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। পিয়ংইয়ং থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ইয়ংবিয়ুন চুল্লী ফের চালু করে মারণাস্ত্র শ্রেণীর প্লুটোনিয়াম উৎপাদন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতির ঘোষণার প্রেক্ষিতে জন কেরি এ সতর্ক বার্তা দিলেন।

ইরানের সাথে পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে সমঝোতায় আসার পর উ. কোরিয়ার সাথেও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ কোন চুক্তি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মি. কেরি ‘হতে পারতো’ বলে মন্তব্য করেন, “উত্তর কোরিয়ার তরফে এভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন হুমকিধামকি চলতে থাকলে ওই অঞ্চলের শান্তি বিনষ্ট হওয়া অব্যাহত থাকবে, অস্থিরতা বাড়বে। পিয়ংইয়ং যদি আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ মেনে না চলে তবে সেটার জন্য তাঁদেরকে চড়া মূল্য দিতে হবে।”
জন কেরি আরও বলেন, “আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেবো না। একই কথা ইরানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।”
উত্তর কোরিয়া এসব হুশিয়ারি উপেক্ষা করে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে কিম জং উনের দেশ ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক অবরোধের মুখে পড়বে বলেও জানান মি. কেরি।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ছয়টি দেশের মধ্যে হওয়া এক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির অংশ হিসেবে ইয়ংবিয়ুন চুল্লীর কাজ স্থগিত রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। তবে ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে ফের শুরু হওয়া পারমাণবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি এটি পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং। পূর্ণোদ্দমে কাজ চললে চুল্লীটি প্রতি বছর ৬ কেজি প্লুটোনিয়াম উৎপাদনে সক্ষম যা কিনা একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট।