Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশী গৃহকর্মী নিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছে সৌদি

soudiবাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত না মানা, গৃহকর্মী সরবরাহে ধীরগতিসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিবর্তে তারা আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশ ইরিত্রিয়া থেকে নারী গৃহকর্মী আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

chardike-ad

মক্কা অ্যারাবিক ডেইলি ও সৌদি গেজেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া ও প্রতারক রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলো ফিলিপাইন থেকে সরে এখন কৌশলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। তাদের প্ররোচনায় বাংলাদেশী এজেন্সিগুলো চুক্তি মানছে না। আর বাংলাদেশ থেকে আরো সস্তায় (মাসিক ৭০০ রিয়াল বেতনে) নারী গৃহকর্মী পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এজেন্সি সংশ্লিষ্টদের দাবি, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী প্রতি গৃহকর্মীর বিপরীতে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল দিতে হবে। অন্য দিকে সৌদি লিগ্যাল অফিস এ ক্ষেত্রে সাত হাজার রিয়ালের বেশি দিতে রাজি নয়। তা ছাড়া প্রত্যেক গৃহকর্মীর মাসিক বেতন ৮০০ রিয়ালের চুক্তি হলেও ব্রোকারদের দাবি গৃহকর্মী ও নিয়োগকর্তার বোঝাপড়া ও সৌদি সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী মাসিক বেতন দিতে হবে। এমন টানাপড়েনের মধ্যে পাঁচ লাখ গৃহকর্মী পাঠানোর অঙ্গীকারের মধ্যে গত ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে মাত্র দুই হাজার গৃহকর্মী পাঠানো হয়েছে।

রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য ও নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান মিশারি আল তোফাইরি অভিযোগ করেন, এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ মহিলা গৃহকর্মীর চেয়ে পুরুষ গৃহকর্মী পাঠাতে আগ্রহী।

অন্য দিকে বাংলাদেশী ব্রোকার এজেন্সিগুলো বলছে, মন্ত্রণালয় যখন চুক্তি করে তখন জনশক্তি রফতানি খরচ ছিল এক হাজার মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে বেড়ে এক হাজার ৮০০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ অবস্থায় সৌদি আরব গৃহকর্মীর সন্ধানে বাংলাদেশের পরিবর্তে ইরিত্রিয়ার দিকে ঝুঁকছে। প্রসঙ্গত, সাত বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া আবার চালু করে সৌদি আরব।