Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নির্বাচন নিয়ে প্রবাসীদের ভাবনা

saudi-probashiবাংলাদেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী দেশের বাহিরে অবস্থান করছে যার সংখ্যা প্রায় এক কোটির বেশি। যাদেরকে আমরা প্রবাসী বলে থাকি। একটু সুখের আশায় যারা নিজের আরাম আয়েশ, জীবন যৌবন সর্বস্ব ত্যাগ করে প্রবাস নামের কারাগারে পড়ে থাকে। তারাও কি দেশ নিয়ে ভাবে? ভাবে কি? হ্যাঁ প্রবাসীরাও প্রতিনিয়ত দেশ নিয়ে ভাবে।

কোনো কিছুর সফলতায় যেমন তারা আনন্দিত হয় তেমনিভাবে দেশের ভেতরে কোনো সমস্যা সংকট হলে ব্যথিতও হয়। কারণ যে দেশটিতে জন্ম নিয়েছে সে দেশটিকে মায়ের মতো করেই ভালোবাসে প্রবাসীরা।

chardike-ad

সপ্তাহখানেক পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নিয়ে চলছে প্রচার প্রচারণা সভা সমাবেশ মিছিল-মিটিং। প্রার্থীরা নিজ নিজ পক্ষে সমর্থন পাওয়ার জন্য দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শঙ্কা হচ্ছে সংঘাত সংঘর্ষ। এ নিয়ে প্রবাসীরা সন্ধিহান তাদের মনে প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে তো? জনসাধারণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে তো?

দেশের জনগণ তাকিয়ে থাকে বড় দলগুলোর দিকে। নির্বাচনী ইশতেহারের দিকে। কী থাকছে জনসুবিধায়, দেশ ও দশের জন্য। ঠিক তেমনি দেশের প্রায় এক কোটিরও বেশি প্রবাসী রয়েছেন যারা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে তাদের জন্য কতটুকু সুবিধা দেয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের কথা ভাবা হচ্ছে কি-না?

প্রবাসীরা এ নির্বাচনে আশা করেছিলেন এবার অন্তত তাদের নিয়ে বড় দলগুলো ইশতেহারে ভালো কিছু ভূমিকা নিয়ে আসবেন। কিন্তু সেই আশা নিরাশায় পরিণত হলো যখন কোনো দলের ইশতেহারে আশামূলক কিছুই থাকল না প্রবাসীদের জন্য। হতাশ হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি প্রবাসীরা।

যে যার মতো দিচ্ছে হাজারো প্রতিশ্রুতি। এত প্রতিশ্রুতি তবুও হতাশ পরবাসীরা। কারণ কোনো দলই প্রবাসীদের সুবিধার কথা চিন্তা করছে না। শুধু নিজেদের সুবিধার্থে ইশতেহারে ব্যস্ত। প্রবাসীদের দুঃখ কেউ বোঝেনি, বোঝেও না।

প্রবাসীরা চাই সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যাতে করে সবাই সবার নিজের মতামত স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। যারাই নির্বাচিত হোক বা হবে তারা দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাবে আরো উন্নতির উচ্চ শিখরে এই প্রত্যাশা প্রবাসীদের। প্রবাসীরা মনে করেন দেশ ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকি।

প্রবাসীদের পরিবার দেশে নিরাপদ নয়। প্রায়ই দিনই হামলা-মামলাসহ নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। দেশ-বিদেশ সব জায়গায় আমাদের কলুর বলদের মতো থাকতে হয়। প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য ভালো স্কুল কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে কোটা থাকে না। এসব বিষয়ে সরকারের ভাবা উচিৎ। অনেক প্রবাসী আছে দেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। শুধুমাত্র হয়রানি জীবনের অনিশ্চয়তায় ভোগার কারণে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন না।

প্রবাসীদের জন্য সরকার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দেশে বিনিয়োগ বেড়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। ফলে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। রেমিটেন্সের হার আরও বেড়ে যাবে।

লেখক- জুয়েল ফকির, সৌজন্যে- জাগো নিউজ