Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার নাটকীয় জয়

south-africa
ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে দিয়েছিলো ৩০৪ রানের লক্ষ্য। তা ছুঁতে গিয়ে শেষ ওভারে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১ রান। উইকেটে অধিনায়ক ধোনি এবং অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি। বোলিংয়ে ক্যাগিসো রাবাদা। ওভারের প্রথম তিন বলে আসে চার রান। শেষ তিন বলে প্রয়োজন তখনও সাত রান। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ধোনি এ বিনিকে ফেরান রাবাদা। শেষ বলে এক রান নেন ভুবেনেশ্বর কুমার। ততক্ষণে প্রোটিয়াদের জেতা হয়ে গেছে পাঁচ রানে। বিফলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা রোহিত শর্মার ১৫০ রানের অসাধারণ ইনিংসটি।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডে সিরিজও দুর্দান্তভাবে শুরু করলো প্রোটিয়ারা। এ দিন এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৭৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রানে ভর করে ৩০৩ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে ৪৫ রান তুলেন কুইনটন ডি কক ও হাশিম আমলা।

chardike-ad

শুরুটা আহামরি না হলেও ফ্যাফ ডু প্লেসির ৬২ ও অধিনায়কের সেঞ্চুরি প্রোটিয়াদের এনে দেয় ৩০৩ রানের বিশাল পুঁজি। এ রান করতে পাঁচ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও অমিত মিশ্র।

জবাব দিতে নেম ৭.৩ ওভারে ৪২ রান তুলেন রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান। দ্বিতীয়জন ২৩ রান করে বিদায় নিলেও আরেক প্রান্তে পাহাড়ের মতো অবিচলতা নিয়ে দাঁড়িয়েন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় উইকেটে অজিঙ্কা রাহানে নিয়ে ১৪৯ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয়ের পথ প্রশস্ত করেন তিনি।

১৯১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। এ দিন সুবিধা করতে পারেন বিরাট কোহলি। মাত্র ১১ রান করে বিদায় নেন তিনি। পরে ধোনি এসে জুটি গড়েন ততক্ষণে সেঞ্চুরি করে ফেলা রোহিত শর্মার সাথে। ৫৫ রানে জুটিতে তারা দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকেই। কিন্তু ২৬৯ রানে অর্থাৎ জয় থেক ৩৫ রান দূরে থাকতেই বিদায় নেন রোহিত শর্মা।

ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫০ রান করে ফেলেছিলেন রোহিত। এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরো সামনে। কিন্তু ৪৭ তম ওভারে ইমরান তাহিরের বলটা বুঝতে না পেরে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। ভারতের তখন ২৩ বলে ৩৫ রান দরকার। এই রানটা আর করতে পারেনি ভারত। ইনজুরির কারণে দৌড়াতে কষ্ট হচ্ছিলো ধোনির। তারপরও জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ওভারে ম্যাচের গল্পের নায়ক হয়ে যান রাবাদা। পরপর দুই বলে ধোনি ও বিনিকে বিদায় করে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

সংক্ষেপে স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩০৩/৫; এবি ডি ভিলিয়ার্স ১০৪, ফ্যাফ ডু প্লেসি ৬২; ভুবেনেশ্বর ২/৭১, মিশ্র ২/৪৭;
ভারত: ৫০ ওভারে ২৯৮/৭; রোহিত শর্মা ১৫০, রাহানে ৬০; রাবাদা ২/৫৮, তাহির ২/৫৭
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ রানে জয়ী।