Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাপ-বেটা এখন ভায়রা-ভাই!

soudiসৌদি আরবের এক সত্তরোর্ধ্ব লোক তার ছেলে-বউয়ের বোনকে বিয়ে করেছেন। ফলে বাপ-বেটা এখন ভায়রা-ভাইয়ে পরিণত হয়েছেন। আর এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি প্রবলভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।

ঘটনাটি অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আসলে ঘটনা এমন হওয়ার কথাও ছিল না। বাবা গিয়েছিলেন লোহিত সাগর তীরবর্তী তিহামাহ অঞ্চলের আল কুনফুদা একটি পরিবারের বাসভবনে। যাতে তারা মেয়েকে তার ছেলের সাথে বিয়ে না দেন। কিন্তু পরে তিনি তার ছেলের বিয়েতে রাজি তো হনই। উপরন্তু পুত্রবধূর বোনকে নিজে বিয়ে করেন।

chardike-ad

ছেলেটির এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আর এ বিয়ের পরিকল্পনার জন্য তিনি পরিবারের সবার কাছে তিরস্কৃত হন।

ছেলেটি জানায়, তিনি ওই নারীটির প্রেমে পড়েছেন, তাই তাকে বিয়ে করতে চান। তার প্রথম স্ত্রী এই বিয়ের বিরোধিতা করেন। তিনি তাকে তালাক দেয়ারও হুমকি দেন। আর ছেলেটির মা-ও জানান, তিনি পুত্রবধূর অবস্থান সমর্থন করেন। তিনিও চান না তার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করুক। বাবা তাদের সাথে যোগ দিয়ে বলেন, তিনি এই বিয়ের পরিকল্পনা ভেঙে দেবেন।

কিন্তু ছেলে অনড় থাকেন দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে অগ্রসর হতে থাকেন বলে সৌদি দৈনিক ওকাজ জানায়। তখন ছেলের মা ও প্রথম স্ত্রী ছেলেটির বাবাকে পাঠান মেয়ের বাবার কাছে। যেন তিনি বিয়েটি ভেঙে দেন।

ছেলের বাবা সেখানে গিয়ে মেয়ের বাবার সাথে বসার ঘরে বসেন। তিনি সেখানে পানীয় প্রদানের জন্য আগত এক নারীকে দেখেন।
সত্তরোর্ধ্ব লোকটি তখন জানতে চান, এই মেয়েটিকেই কি তার ছেলে বিয়ে করতে চায়? মেয়ের বাবা জানান, না, এটা হলো মেয়েটির বোন। মেয়েটির বয়স ৩০, সে ডিভোর্সি।

তখন ছেলের বাবা মত পাল্টান। বলেন, তিনি ছেলের দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি। আর ডিভোর্সি মেয়েটিকে তিনি বিয়ে করতে চান। মেয়েটির বাবাও এতে রাজি হন।

এদিকে এই ঘটনায় সৌদি আরবে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নাওয়াফ নামের এক ব্লগার লিখেছেন, সাধারণত ৫০ বছরের পর যেকোনো লোক ধর্মকর্মের দিকে ঝোঁকে। আর এই লোক অন্যদিকে মেতে আছে। এটা পুরোপুরি অন্যায়। তিনি বলেন, সত্তরোর্ধ্ব লোকটি ‘বিপজ্জনক’।

সারোনা নামের অপর এক ব্লগার লিখেছেন, একটা বড় ভুল হয়ে গেল।