Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হার

zimbabweএকমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রেগ আরভিনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিসিবি একাদশকে সহজেই হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আরভিনের সঙ্গে দলের জয়ে দারুণ সহযোগিতা করেছেন অধিনায়ক এল্টন চিগম্বুরা ও শেন উইলিয়ামস। এই তিন ব্যাটসম্যানের তিনটি অর্ধশতর উপর নির্ভর করে সাত উইকেটের দাপুটে জয় পেল সফরকারীরা। হেরে যাওয়া এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মুশফিকের রানে ফেরা।

বিসিবি একাদশের দেয়া ২৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দলীয় ২৭ রানে অষ্টম ওভারে বিসিবির হয়ে প্রথম আঘাত হানেন শফিউল ইসলাম। রিচমন্ড মুতুম্বামিকে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিনত করে এই টাইগার। এরপর দ্বাদশ ওভারে দলের হয়ে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সানজামুল ইসলাম। তবে এই আউটে কৃতিত্ব অনেকটাই শফিউলের। পিছন দিকে দৌড়ে ঝাপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন এই পেসার।

chardike-ad

এরপর শেন উইলিয়ামসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ক্রেগ আরভিন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৫ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ৩৩তম ওভারে শেন উইলিয়ামস ইনজুরি হয়ে ফিরে গেলে মাঠে নামেন অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা। ৫৭ বলে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ রান করেন উইলিয়ামস।

দলীয় ২১৩ রানে ক্রেগ আরভিনকে ফিরিয়ে দেয়ার স্বাগতিকদের খেলায় আনেন সানজামুল। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন আরভিন। ৯৯ বলে ৯টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন। তবে সিকান্দর রাজাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন চিগুম্বুরা। ৪৯ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।

বাংলাদেশের পক্ষে ৭০ রানে ২টি উইকেট পান সানজামুল ইসলাম। এছাড়া শফিউল ইসলাম পান ১টি উইকেট। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি ৭ ওভার বোলিং করে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শুন্য থাকেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বিসিবি একাদশ। দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয় দলের শুরুটা করেন দুর্দান্ত। এই দুই ব্যাটসম্যান ১৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে করেন ১০৫ রান। তবে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে থামেন ইমরুল কায়েস। ক্রেমারের বলে আউট হবার আগে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কায় করেন ৫৬ রান।

আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৬১ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৫২ রান করে ক্রেমারের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন। তিন নাম্বারে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন দাস করেন ২৫ রান। তবে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান (৩)।

এরপর ১৪৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বিসিবি একাদশের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম এবং শাহরিয়ার নাফিস। এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান। ৪টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৩৮ রান করেন শাহরিয়ার নাফিস।

একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাদাকালো জার্সির বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৫টি চার এবং ২টি ছক্কায় সাজানো এই রান করতে বলে খেলেন ৮৩টি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আট উইকেটে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জংবি ৩টি উইকেট পান ২০ রানে। এছাড়া গ্রায়েম ক্রেমার ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন।