Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আবারো বাংলাওয়াশ

Mustafizur-Rahmanসিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহর করা তিনটি অর্ধশত ও মুস্তাফিজের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়েকে ৬১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতে সফরকারীদের বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা। টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় হোয়াইটওয়াশ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় হোয়াইটওয়াশ।

বুধবার মিরপুরে আগে ব্যাট করে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৩.৩ ওভারে ২১৫ রানে অলআউট হয় যায় জিম্বাবুয়ে। ৫ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

chardike-ad

ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন চামু চিবাবা। তবে পরের বলেই চিবাবার মিডল স্টাম্প উপড়ে দেন মুস্তাফিজ। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শক।

এরপর নিজের চতুর্থ ওভারে এসে আরেক ওপেনার রেগিস চাকাভাকেও বিদায় করেন মুস্তাফিজ। কাভারে চাকাভার (১৭) ক্যাচ নেন নাসির হোসেন।

ইনিংসের নবম ওভারে নাসিরকে আক্রমণে আনেন মাশরাফি। আর নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই দলকে সফলতা এনে দেন নাসির। ২১ রান করা ক্রেইগ আরভিনকে এলবিডব্লিউ করেন এই অফ স্পিনার। ফলে ৪৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে শন উইলিয়ামস ও এল্টন চিগুম্বুরা মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বার বার বোলার পরিবর্তন করেও যখন সফলতা আসছিল না, তখন সাব্বির রহমানের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। আর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই চিগুম্বুরাকে (৪৫) ফিরিয়ে ৮০ রানের জুটি ভাঙেন সাব্বির। জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ককে বোল্ড করেন এই লেগ স্পিনার।

এরপর ম্যালকম ওয়ালারকে নিয়ে আরেকটি ফিফটি রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামস। তবে দলীয় ১৮৬ রানে ওয়ালারকে (৩২) ফিরিয়ে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন আল-আমিন। কাভারে দারুণ এক ক্যাচ নেন নাসির। এর পরের ওভারেই উইলিয়ামসকে বিদায় করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক মাশরাফি। সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন ৬৪ রান করা উইলিয়ামস।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম ও ইমরুল ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে তিন’শর বেশি সংগ্রহের স্বপ্নই দেখিয়েছিলেন। তবে মাঝে দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারানোয় সে স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তবে মাহমুদউল্লাহর দারুণ ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২৭৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করা ইমরুল ও সিরিজে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া তামিম- দুজনের ব্যাট থেকেই রান আসে ৭৩ করে। ৯৫ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংসটি সাজান ইমরুল। তামিমের ৯৮ বলে করা ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কা মার।

আর মাহমুদউল্লাহ ৪০ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৮ ও লিটন দাস ১৭ রান করে দলের সংগ্রহে অবদান রাখেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জংউই ও গ্রায়েম ক্রেমার ২টি করে উইকেট নেন।