প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে মুসলিমদের ওপর নজরদারি ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে এবং মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হামলার পর দেশটিতে মুসলিমদের জীবন এমনিতেই আশঙ্কার সম্মুখীন। তারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন এবং মসজিদ বন্ধের খবর শুনে তাদের এই আতংক আরো বেড়েছে গেছে।
খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনিয়ুভ দেশটির কয়েকটি মসজিদ বন্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। প্যারিসে হামলার পর থেকেই মূলত এমন দাবি উঠছিল। গত সোমবার সে দাবির বৈধতা দিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মসজিদ বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেন তিনি।
ফ্রান্সের এক টিভি সাক্ষাৎকারে বার্নার্ড বলেন, কেবল মসজিদ বন্ধই নয়, এই মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের দেশান্তর করা উচিত আমাদের। উল্লেখ্য, ফ্রান্সে গত তিন বছরে ৪০ জন মুসলিম নেতাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। যার মধ্যে ২৫ ভাগ চলতি বছরের ৬ মাসে করা হয়।
একই দিন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালাস বলেছেন, যেসব মসজিদ এবং গ্রুপ দেশের মূল্যবোধে আঘাত করে সেসব বন্ধ করে দেয়া উচিত।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের গভর্নর প্যারিস হামলার প্রতিক্রিয়ায় কোনো মুসলিম অভিবাসীকে সে দেশে স্থান দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এক বার্তায় গভর্নর রিক এস্টাইডার বলেন, দেশের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ জোরদার করার আগ পর্যন্ত কোনো মুসলিম শরণার্থীকে দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। তিনি তার অঙ্গরাজ্যে একই অজুহাতে সিরীয় শরণার্থীদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে কিছু মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে রয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ও রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, দেশে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে কিছু মসজিদ বন্ধ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করা উচিত।
প্যারিসের ভয়াবহ হামলার পর সোমবার এমএসএনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, মসিজদে গিয়ে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে এবং জরিপ করতে হবে সেখানে কি হয়। কারণ সেখানে অনেক ধরনের আলোচনা হয়। তবে কি নিয়ে আলোচনা হয় সেটা তিনি সরাসরি বলেননি। ভালাসের কথার প্রসঙ্গ তুলে এমএসএনবিসি প্রশ্ন করে, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রে এটা করবেন কিনা? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, এটা যদিও ঘৃণিত কাজ, কিন্তু কিছু কাজের ব্যাপারে আপনাকে দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। দৈনিক জং, জিও টিভি, ওয়েবসাইট।