মাত্র পঞ্চাশ টাকা ধার দিতে না পারায় তারই ছোট ভগ্নিপতির লাথিতে প্রাণ দিতে হলো হাজেরা খাতুনের (৭০)। তিনি পেশায় ভিক্ষুক। দু’পক্ষের টানাটানিতে রাতেও লাশ দাফন করা যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে শহরের মুজাটি রাজের মোড় এলাকায়।
এলাকাবাসী জানায়, মুজাটি গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের বৃদ্ধা স্ত্রী হাজেরা খাতুন তার ছোট বোন ছফুরার বাড়ির পাশেই একটি কুঁড়ে ঘর তোলে মেয়ে ও দুই নাতিদের নিয়ে বসবার করেন। মেয়ে খালেদা খাতুন ও তার মেয়ের ভিক্ষার চাল দিয়েই চলে তাদের সংসার।
ভিক্ষার টাকা থেকে কিছু টাকা জমিয়ে রাখেন টিন কিনে নতুন ঘর দেওয়ার জন্য। ওই জমানো টাকা থেকে তার ছোট ভগ্নিপতি মহির উদ্দিন ৫০ টাকা ধার চান। ওই টাকা না দেওয়ায় ঘটনার দিন সকাল ৮টায় মহির উদ্দিন ভিক্ষুক হাজেরা খাতুনকে লাথি ও টানাহেঁচড়া করেন। এর পর বাড়ি থেকে বের হয়ে কয়েক’শ গজ যাওয়ার পরই মাটিতে লুটিয়ে পরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর থেকে দু’টি পক্ষ হাজেরার লাশ নিয়ে টানাটানি শুরু করেন। হাজেরার বোন চান তার লাশ দাফন করতে। আর হাজেরার মেয়ে খালেদা খাতুন চান তার মা হত্যার বিচার। মৃত মায়ের লাশ নিয়ে দু’বোনের টানাটানিতে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত লাশ দাফন করা হয়নি।
নিহত হাজেরার মেয়ে খালেদা খাতুন সাংবাদিক ও উপস্থিত এলাকাবাসীকে বলেন, তার মাকে লাথিমেরে ও টানাহেঁচড়া করে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে হাজেরার ছোট বোন ছফুরা খাতুন বলেন, বাড়িতে ঝগড়া হওয়ার পর সে হার্ট স্ট্রোকে মৃত্যু বরণ করেছেন। তাকে কেউ মারধর করেননি।
মুক্তাগাছা থানার ওসি আবু মোঃ ফজলুল করিম বলেন, এলাকা থেকে জনৈক এক ব্যক্তি তাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। নতুন বার্তা