ফিলিপিন্সের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল-‘এএমএলসি’কে রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের ৪৬ লাখ ডলার ফেরত দিলেও এই অর্থ কোত্থেকে এসেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেবেন না বলে জানিয়েছেন চীনা ব্যবসায়ী কিম অং। রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ফিলিপিন্সের সংবাদ মাধ্যম এবিএস-সিবিএন।
এদিকে, এই অর্থ পাচার বিষয়ক মামলার শুনানি গোপনে করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সিনেট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে চুরি করে এবং সেই অর্থের কিছু অংশ ফেরত দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত হলেন চীনা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং। যদিও এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন এ চীনা ব্যবসায়ী।
কিন্তু জড়িত না থাকলে অর্থ ফেরত দিলেন কোথা থেকে- এই প্রশ্ন যখন সবার মনে তখন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম জানালেন এ অর্থের উৎস সম্পর্কে মুখ খুলবেন না তিনি। ৫৪ বছর বয়সী এই ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর মতে, ক্যাসিনো’তে অর্থ কোথা থেকে আসলো তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
এদিকে, এত বড় মাপের অর্থ কেলেঙ্কারির শুনানিতে যেন প্রকাশ্যে না করা হয় সেজন্য সিনেটের দুর্নীতি বিরোধী কমিটির প্রতি প্রস্তাব ছিলো ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ফিলিপিন্সের। কিন্তু এই গোপন শুনানির প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ফিলিপিন্সের সিনেট।
আর্থিক খাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার অপরাধের এ ঘটনা তদন্তে আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী সিনেট শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।