যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে নিজের অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লন্ডনের নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক খানের প্রসঙ্গ টেনে বার্তা সংস্থা ফক্স নিউজের করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তার অবস্থানের কথা জানান।
ট্রাম্প বলেন, “নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি শুধু একটি প্রস্তাব ছিলো।”
বিবিসির খবরে বলা হয়, লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আশঙ্কা প্রকাশ করে সাদিক খান বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারবেন না। কারণ, তিনি একজন মুসলিম।
এ কথা জানার পর ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সাদিক খানের জন্য ব্যতিক্রম ব্যবস্থা করবেন। অবশ্য ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন লন্ডনের নতুন মেয়র।
সাদিক খান মনে করেন, রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে থাকা মার্কিন এই ব্যবসায়ীর সিদ্ধান্তগুলো যুক্তিসংগত নয় এবং এটি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে আরো অনিরাপদ করে দেবে।
গত বছর প্যারিসে বন্দুকধারীদের চালানো হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দেশটিতে মুসলমানদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। এর পর থেকেই এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।
এই প্রস্তাবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন ট্রাম্প। তবে এখনো নিজের প্রস্তাবের পক্ষে অনড় অবস্থানে আছেন মার্কিন এই ব্যবসায়ী। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয় সময় বুধবার ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, “এটা একটা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। এটা তো এখনো জারি করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বুঝতে না পারছি যে কী হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা জারি থাকতে পারে।” –সংবাদমাধ্যম