এক কেজি গরুর মাংসের জন্য শিশু ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ ঘটনায় জড়িত আটক তিন ব্যক্তি। পুলিশের সামনে রোববার তারা এই তথ্য স্বীকার করেন।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, আটক তিনজন স্বীকার করেছেন, ফাহিমকে তারাই হত্যা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে আটক তিনজনকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের রোববার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত ফাহিম আহমেদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। ফাহিমের বাবা মনিরুল ইসলাম মালয়েশিয়া প্রবাসী। কুশখালীতে নানা হাজি মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকত ফাহিম।
গত ১৪ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল ফাহিম। পরের দিন ১৫ জুন সন্ধ্যায় কুশখালীর সীমান্ত এলাকার পাটক্ষেত থেকে ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, ফাহিমের লাশ উদ্ধারের পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুশখালীর সাইকেল মেরামত দোকানদার মুজিবর রহমানের স্ত্রী সফুরা খাতুন, তার ছেলে ইব্রাহীম খলিল ও ইসরাফিল হোসেনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এসআই আবুল কালাম জানান, প্রতিবেশী মুজিবর রহমান বাজার থেকে এক কেজি গরুর মাংস কিনে তা ফাহিমের হাতে দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন। ফাহিম ওই মাংস এনে দেখতে পায় মুজিবর রহমানের বাড়িতে কেউ নেই। তখন সে বাড়ির মধ্যে থাকা একটি ভ্যানের ওপর প্যাকেটে থাকা মাংস রেখে বাড়ি চলে যায়।
আবুল কালাম জানান, কিছুক্ষণ পর মুজিবর রহমানের পরিবারের লোকজন বাড়ি এসে দেখতে পায় একটি কুকুর মাংসের প্যাকেটটি নিয়ে টানাটানি করছে। এ সময় মুজিবরের স্ত্রী সফুরা ও তার দুই ছেলে ইব্রাহীম ও ইসরাফিল ফাহিমকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে জানতে চায় মাংস কোথায়। ফাহিমের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাকে (ফাহিম) বেদম মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে ফাহিমকে ঘরের মধ্যে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে তার লাশ ঘরে খাটের নিচে রেখে সন্ধ্যায় বাড়ির ধারে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাটক্ষেতে ফেলে রেখে আসে।