Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বের সেরা হরর ছবি সম্পর্কে ভয়াবহ কিছু তথ্য

hororহরর ছবির নিয়ম কানুন যতই বদলাক না কেন, ১৯৭৩-এর ‘দি একজরসিস্ট’-কে সর্বকালের সেরা হিসেবে রায় দেন অসংখ্য মুভি-রসিক। আজ হয়তো এই ছবিকে দেখলে এর ‘ভয়াবহতা’-কে কিছুটা ফিকে লাগবে। কিন্তু যে সময়ে এই ছবি রিলিজ করেছিল, সেই সময়ের প্রেক্ষিতে ‘দি একজরসিস্ট’ এক অনন্য স্থান অধিকার করেছিল তাতে সন্দেহ নেই। সেই ছবি নিয়ে অস্বাভাবিক কিছু ঘটনার কথাই এখানে তুলে ধরা হল।

১. ‘দি একজরসিস্ট’ ছবিটি তৈরির সময়ে সর্বমোট ৯ জন  মারা যান।

chardike-ad

২. ছবিতে প্রদর্শিত বাড়ি ও ম্যাকনিল হাউসের সেটটি অগ্নিদগ্ধ হয়। আশ্চার্য ব্যাপার হল, ছবির প্রধান চরিত্রের মেয়ে রেগান ম্যাকনিলের ঘরটি বেঁচে যায়। ছবিতে রেগানই অশুভ শক্তির পাল্লায় পড়ে।

৩. ছবির অরিজিন্যাল ট্রেলারে এত বেশি চমকপ্রদ সাদা-কালো ইমেজের বাহুল্য ছিল যে, বহু সিনেমা হল সেই ট্রেলার দেখাতে অস্বীকার করে। তাদের বক্তব্য, এই ট্রেলার এতটাই ভয়াবহ যে এটি দেখার পরে দর্শকরা মূল ছবিটি দেখতে দ্বিধাবোধ করবেন।

৪. মার্কিন ধর্মতাত্ত্বিক বিলি গ্রাহাম দাবি করেন, ছবির সেলুলয়েড রিলের ভিতরে সত্যিই কোন অশুভ শক্তি বাস করছে।

৫. রেগানের ভুমিকায় যে কিশোরীটি অভিনয় করেছিলেন, সেই লিন্ডা ব্লেয়ারকে অনেকে খুনের হুমকি দিতে শুরু করেন। তাঁদের ধারণা, লিন্ডা এই চরিত্রে অভিনয় করে শয়তানের জয় ঘোষণা করেছেন। ছবির প্রোডাকশন হাউস ওয়ার্নার ব্রাদার্স লিন্ডাকে ৬ মাসের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করে।

৬. ছবির পোস্ট প্রোডাকশন যে বাড়িটিতে সম্পন্ন হয়, তার ঠিকানা ছিল— ৬৬৬, ফিফথ অ্যাভিনিউ, নিউ ইয়র্ক। মনে রাখা দরকার, পশ্চিমী ধারণা অনুযায়ী ৬৬৬ চরম অশুভ সংখ্যা।

৭. এমন শোনা গিয়েছিল যে, এই ছবির সঙ্গে জড়িত সকলেই অপঘাতে মারা যাবেন। ছবি রিলিজের আগে জ্যাক ম্যকগোরান এবং ভ্যাসিলিকি মালিয়ারোস নামের দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী মারা যান। চিত্রনাট্যেও তাঁদের মৃত্যু দেখানো হয়েছিল।

৮. ছবির শ্যুটিং চলাকালে লিন্ডা ব্লেয়ার মনসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাসের পর মাস ধরে তিনি দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন।

৯. ছবি রিলিজ হলে বিভিন্ন প্রকার অসুস্থতার খবর আসতে থাকে। বহু দর্শক অজ্ঞান হয়ে যান, অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। একজনের গর্ভপাতও হয়ে যায়।

১০. ছবি চলাকালে লিন্ডা ব্লেয়ারের দাদা মারা যান, অভিনেতা ম্যাক্স ভন সিডো-র ভাই মারা যান, একজন নাইট এয়াচম্য়ান মারা যান, ছবির স্পেশাল এফেক্টস বিশেষজ্ঞ মারা যান এবং ক্যামেরাম্যানের সদ্যজাত শিশু মারা যায়। সূত্র: এবেলা