Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনে একমত যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া

north korea southউত্তর কোরিয়ার অব্যাহত হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কিত এক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে দাবি করে এটি স্থাপনের বিরোধিতা করেছে চীন।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ‘দ্য টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড অ্যারে ডিফেন্স’ (টিএইচএএডি) নামক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনে একমত হয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোথায় স্থাপন করা হবে এবং এর নিয়ন্ত্রণই বা কার হাতে থাকবে।

chardike-ad

উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। ওই সময়ই এর বিরোধিতা করে চীন।

টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারবে। তবে চীনের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির রাডারের কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়বে।

বিবিসি জানায়, বেইজিংয়ের আশঙ্কা টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডারে বহুদূরের অঞ্চলেও নজরদারি করা যাবে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জাতিসংঘে সমর্থন করেছে চীন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আজ শুক্রবার বলা হয়, দেশের নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনে সম্মত হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এটি স্থাপন করা হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এবং দেশটির ১০ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর এলো দক্ষিণ কোরিয়ায় বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের ঘোষণা।

এরই মধ্যে কিম জং-উন এবং দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এনটিভি।